নিজস্ব প্রতিবেদন: ও যেন হাওয়ার থেকেও হালকা, আগুনের থেকেও তেজি! দাবানলের মতোই মুহূর্তে দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ার শক্তি আছে তাঁর। এই সেই মেয়ে, যে প্রথমবার ট্র্যাকে নেমেই বিশ্বজয় করল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম আবির্ভাবেই সোনা জয়ী হয়ে নজির গড়লেন অসমের মেয়ে হিমা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গলে ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপার রোবিনহো?


৪০০ মিটার দৌড় শেষ করতে এই স্প্রিন্টার সময় নিয়েছেন মাত্র ৫১.৪৬ সেকেন্ড। বিশ্ব অ্যাথেলিটে এটাই সম্ভবত সেরা রেকর্ড। প্রথমে পিছিয়ে থেকেও শেষ ল্যাপে বাজিমাত করেছেন হিমা। শেষ ৮০ মিটারে তাঁর বিদ্যুত্ গতি একে একে পরাস্ত করেছে বিশ্বের তাবড় থেকে তাবড় স্প্রিন্টারদের। আর ফিনল্যান্ডে অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের পরই ১৮ বছরের হিমা ঢুকে পড়েছেন এলিট ক্লাবে। অতীতে অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয়ী সীমা পুনিয়া (ব্রোঞ্জ, ডিসকাস), নভোজিত্ কৌর ঢিলন (ব্রোঞ্জ, ডিসকাস), নীরজ চোপড়ার (সোনা, বর্শা নিক্ষেপ) সঙ্গেই এবার জুড়ল হিমার নামও।


আরও পড়ুন- দল বিশ্বকাপ ফাইনালে, চরম অখুশি ক্রোট স্ট্রাইকার!


অসমের নগাও জেলার ঢিং গ্রামে জন্ম হিমা দাসের। বাবা পেশায় কৃষক। দরিদ্র পরিবারের এই মেয়ে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলোয় বেশ ভাল। প্রথমে ফুটবল ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় ফুটবল খেলত মেয়েটা। বাকি সময় বাবার সঙ্গেই ধান চাষে হাত লাগাত হিমা। কোচ নিপন দাসের নজরে আসতেই দিন বদলের শুরু হয় এই 'চাষার বেটির'। এরপরই সব ছেড়ে দৌড়ে মনোনিবেশ করতে বলেন কোচ। নাওয়া-খাওয়া এক করে হিমাও লেগে পড়েন। ফল মিলল মাত্র দেড় বছরের মাথায়। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিজে তো সেরা হলেনই, সঙ্গে ভারতকেও বিশ্বসেরা করলেন অসমের হিমা।


আরও পড়ুন- চিঠি লিখে সতীর্থদের আবেগ জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড কোচ