নিজস্ব প্রতিবেদন: মহিলাদের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছেন মিতালি রাজ। অথচ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। অধিনায়ক হরমনপ্রীতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। আর তাতে নয়া মাত্রা যোগ করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টি-২০ বিশ্বকাপেই পরপর দুটি ম্যাচে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্ধ শতরান করেছেন ভারতীয় মহিলা দলের ওয়ান ডে অধিনায়ক। অথচ সেই তাঁকে বসিয়েই সেমিফাইনালে দল নামিয়েছে ভারত। সৌরভের বক্তব্য, কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন তাঁকেও এভাবেই বাদ পড়তে হয়েছিল। 


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর আমাকেও ডাগআউটে বসতে হয়েছিল। মিতালিকে বাদ দেওয়া পর, বলেছিলাম, স্বাগত আমাদের দলে''। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের কথা স্মরণ করিয়ে সৌরভ বলেন, ''ফৈজলাবাদে আমাকে বসানো হয়েছিল। একদিনের ক্রিকেটে ভাল খেলেও প্রায় ১৫ মাস বসেছিলাম। এটা জীবনের অংশ। বিশ্বের সেরাদের একটা সময় দরজা দেখানো হয়''। 


 তবে মিতালির ক্রিকেট সফর এখানেই শেষ হচ্ছে না বলে মত সৌরভের। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের পরামর্শ, ''নিজের উপরে বিশ্বাস রাখ, তুমিই সেরা। আবারও সুযোগ আসবে। মিতালিকে বাদ দেওয়ায় যতটা হতাশ হয়েছি, দেশ হারায় তার চেয়ে বেশি হয়েছি''।


মিতালিকে বসানোর পর টিটোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সাফাই দিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়া বিরুদ্ধে জয়ী ভারতীয় দলে বদল আনতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই মিতালিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি নিজের কোনও ভুল দিচ্ছেন না। কিন্তু তাঁর এমন যুক্তি ধোপে টিকছে না। ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর থেকেই হরমনপ্রীতের সমালোচনা শুরু হয়েছে। মিতালি রাজের ম্যানেজার ইতিমধ্যে ভারতীয় দলে রাজনীতির খেলা চলছে বলে দাবি তুলেছিলেন। হরমনপ্রীতকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মিতালিকে ইচ্ছাকৃতভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তুলেছেন। 


এবার হরমনপ্রীত-মিতালি ইস্যুতে ঢুকে পড়েছে ভারতীয় বোর্ডের সিওএ কমিটি। সিওএর তরফে কোচ রমেশ পাওয়ার ও ম্যানেজার ত্রুপ্তি ভট্টাচার্যের কাছে মিতালি রাজের ফিটনেস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন মিতালির ফিটনেস-এর অবস্থা কেমন ছিল, তাঁর পুরো তথ্য দিতে বলা হয়েছে। ত্রুপ্তি বলছিলেন, ''সেদিন বৈঠকে অধিনায়ক, কোচ ও নির্বাচকরা ছিলেন। সবার সম্মতি নিয়েই মিতালিকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙা হবে না বলে মিটিংয়ে ঠিক হয়। হরমনপ্রীত ও স্মৃতি মন্ধনাও এই ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন। আমরা দলে শুধা শাহকে রাখার পক্ষে ছিলাম। কারণ, ওই উইকেটে অতিরিক্ত বোলার দলকে সুবিধা দিত বলে মনে করা হয়েছিল।''সেমিফাইনালে নামার আগেই ভারতীয় দলের তালিকা প্রকাশ করেছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ম্যাচ শুরুর আগে টিম লিস্ট কী করে মিডিয়ার হাতে পৌঁছয়, এই ব্যাপারেও সিওএ উদ্বেগ জাহির করেছে।


আরও পড়ুন- রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী, মোদীর বাপের নাম কী? প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার