IND vs AUS:শেষ ওভারে বল করার চ্যালেঞ্জটা মানসিকভাবে নিয়েছিলাম, ম্যাচ জিতিয়ে অকপট বিজয়
কীভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সেটা আমি শিখেছি। যে কোনও পরিস্থিতিতে কী ভাবে শান্ত থাকা যায় সেটা এখন শিখে গিয়েছি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগপুরে লাস্ট ওভার থ্রিলারে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ জিতিয়েছেন বিজয় শঙ্কর। হাতে দশ রানের পুঁজি নিয়ে শেষ ওভাবে বাজিমাত্ বিজয়ের। ২ রান দিয়ে তুলে নিলেন দুটি উইকেট। বিরাটের ভরসার প্রতিদান দিলেন বিজয়। তারপরেও ম্যাচ শেষে আবেগে ভেসে যেতে চান না তিনি। বরং বলে দিলেন,"৪৩ ওভারের পর থেকেই আমার মনে হয়েছিল শেষ ওভারটা আামাকে করতে হতে পারে। মানসিকভাবেও চ্যালেঞ্জটা নিতে তৈরি হয়েছিলাম।
শেষ ওভারের আগে গোটা ম্যাচে মাত্র এক ওভার বল করে দিয়েছিলেন ১৩ রান। মাত্র ১০ রানের পুঁজি নিয়ে সেই বিজয় শঙ্করের হাতেই শেষ ওভার করার জন্য বল হাতে তুলে দিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের মাঝে তখন ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করা মার্কোস স্টোইনিস। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ স্টোইনিস। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারলেন না তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাডাম জাম্পা নিলেন দুটি রান। আর তৃতীয় বলে জাম্পার উইকেট ছিটকে দিয়ে নাগপুরে বিজয় পতাকা ওড়ালেন শঙ্কর। যে নিদহাস ট্রফির ফাইনাল অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল বিজয়কে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই ফাইনাল ওভার থ্রিলারে ভারতকে জয় এনে দিয়ে বিজয় বলছেন, "নিদাহাস ট্রফি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। কীভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সেটা আমি শিখেছি। যে কোনও পরিস্থিতিতে কী ভাবে শান্ত থাকা যায় সেটা এখন শিখে গিয়েছি।"
শেষ ওভার বল করতে যাওয়ার আগে কেমন ছিল তাঁর মনের অবস্থা। উত্তরে বিজয় বলেন, "৪৮ ওভারের সময়ই বুমরা আমাকে বলেছিল, বল রিভার্স সুইং করছে। আমাকে বলটা কালি স্টাম্পে রাখতে হবে। আমি শুধু সঠিক লেন্থে বল করার চেষ্টা করেছি, আর তাতেই উইকেট পেয়েছি। একটুও টেনশন হয়নি। আমি চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি।" ব্যাট হাতে ক্যাপ্টেন কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেন বিজয়। ৪৬ করে রান আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। মঙ্গলবার নাগপুরের পারফরম্যান্সের পর বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার জোরালো দাবিদার হয়ে উঠলেন বিজয় শঙ্কর। বিজয়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল বিরাটের গলাতেও।
আরও পড়ুন - IND vs AUS: রিকি পন্টিংয়ে টপকে দ্রুততম ৯০০০ রানের রেকর্ড বিরাট কোহলির