IPL 2022, CSKvsPBKS: Punjab-এর অনবদ্য টিম গেম, হারের হ্যাটট্রিক করল Dhoni, Jadeja-র CSK
তিন ম্যাচে দু’টি জয় পেলেও ময়ঙ্কের নেতৃত্ব আপাতত প্রশ্নাতীত নয়। তবে তাঁর দলের সবচেয়ে বড় ইউএসপি দলগত পারফরম্যান্স। এর উপর ভর করেই প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিচ্ছে পঞ্জাব।
পঞ্জাব কিংস: ১৮০/৮ (লিভিংস্টোন- ৬০, ধাওয়ান-৩৩, জর্ডন-২৩/২, প্রিটোরিয়াস-৩০/২)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১২৬/১০ (দুবে-৫৭, ধোনি-২৩, চাহার-২৫/৩)
৫৪ জয়ী পঞ্জাব কিংস
নিজস্ব প্রতিবেদন: না এ বার আর বিপক্ষকে বাগে আনা যাচ্ছে না। আর তাই তো চলতি আইপিএল-এ (IPL 2022) হারের হ্যাটট্রিক করল চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। রবিবার পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) বিরুদ্ধে ৫৪ রানে হেরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)-মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) সিএসকে (CSK)।
গত মরশুমে বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখিয়ে এবং নেতৃত্ব দিয়ে চেন্নাইকে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ধোনি। কিন্তু জাদেজা ব্যাটন ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ। প্রতি ম্যাচের শেষে সেটা প্রকট হয়ে উঠছে। সুপার সানডেতেও এর ব্যতিক্রম হল না। লিয়াম লিভিংস্টোনের (Liam Livingstone) মারকুটে ইনিংস ও বোলারদের দাপটে মূল্যবান জয় পেল ময়ঙ্ক আগরওয়ালের (Mayank Agarwal) পঞ্জাব।
শুরুতেই চেন্নাই বোলারদের দাপট। মাঝে লিভিংস্টোনের ব্যাটের ঝড়। শেষ লগ্নে সিএসকে বোলারদের প্রত্যাঘাত। সব মিলিয়ে জমজমাট ম্যাচ দেখল রবিবারের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জাদেজা। পঞ্জাব দলে দুটি পরিবর্তন হয়। সুযোগ পেয়েছেন জিতেশ শর্মা ও বৈভব অরোরা। অন্যদিকে ক্রিস জর্ডানকে খেলিয়েছে সিএসকে।
ব্যাট করতে নেমে পরপর দু'ওভারে দু'উইকেট হারায় পঞ্জাব। প্রথম ওভারেই ময়ঙ্ককে (৪ রান) ফেরান মুকেশ চৌধুরী। পরের ওভারের রান আউট হলেন ভানুকা রাজাপক্ষে (৯ রান)। অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় দৌড়ে গিয়ে বল সংগ্রহ করে স্টাম্প ভেঙে দেন ধোনি। রবিবার তিনি পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাইলফলক গড়লেন। কেরিয়ারের ৩৫০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন ধোনি।
দুই ওভারের শেষে পাঞ্জাবের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ১৭/২। তারপরই পাল্টা লড়াই লিয়াম লিভিংস্টোনের। সঙ্গী শিখর ধাওয়ান। ডোয়েন ব্র্যাভোকে ছক্কা মেরে অর্ধ শতরান পূর্ণ করেন লিভিংস্টোন। মাত্র ২৭ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৬০ রান করে ফেরেন জাদেজার বলে। ২৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেন গব্বর। ১১ ওভারে পাঞ্জাবের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ১১৫/৪। তখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, দুশো পার করে যাবে পাঞ্জাব।
কিন্তু এরপরই পরপর উইকেট পড়তে থাকে। ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হলেন জিতেশ শর্মা। ৬ রান করে ফেরেন শাহরুখ খান। ১৬ ওভারের শেষে পাঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ১৫২/৬। শেষ চার ওভারে মাত্র ২৮ রান যোগ করে পাঞ্জাব। ২০ ওভারের শেষে পাঞ্জাব তুলল উইকেটে ১৮০ রান।
জবাবে অর্ধ শতরান হাঁকিয়েও ধোনির ৩৫০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না শিবম দুবে। রাবাদা, বৈভব আরোরাদের দাপটে ৩৬ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ধোনি নামলে খানিকটা থিতু হয় চেন্নাই। দলের সেরা স্তম্ভের আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করেই যেন কথা বলতে শুরু করে দুবের ব্যাট। কিন্তু আর আগেই যে অনেকগুলো ওভার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছনো কার্যত অসম্ভবই হয়ে গিয়েছিল। দিনের শেষে ধোনির নাছোড়বান্দা লড়াইয়েও জয় অধরা রয়ে গেল। জাদেজাকে বুঝতেই হবে, এ বার নির্ভরতা ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
তিন ম্যাচে দু’টি জয় পেলেও ময়ঙ্কের নেতৃত্ব আপাতত প্রশ্নাতীত নয়। তবে তাঁর দলের সবচেয়ে বড় ইউএসপি দলগত পারফরম্যান্স। এর উপর ভর করেই প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিচ্ছে পঞ্জাব।