শ্রাবন্তী সাহা  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পর কি কোনও সম্মানীয় ব্যক্তি বেসরকারি বিজ্ঞাপন করতে পারেন? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই কলকাতা হাইকোর্টে ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের ‘বিরুদ্ধে’ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কমল দে। আদালতের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল,  ঠিক কী  কারণে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এই পুরস্কারগুলো দেওয়া হয়?


আসন পুনরুদ্ধার সম্রাটের, কোহলি ভাঙলেন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড


কমল দে এই মামলাতেই বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেটার তথা ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের বেসরকারি বিজ্ঞাপন করার বিষয়টিও কোর্টের কাছে তুলে ধরেন।


আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীকে জানিয়েছে যেহেতু যার বিরুদ্ধে মামলা, তিনি এই রাজ্যেই থাকেন না তাই মামলা অন্যত্র করতে হবে। আদালত এই মামলাকারীর আইনজীবীকে  দিল্লিতে মামলা করার পরামর্শও দিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই এই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সচিন তেন্ডুলকরের আপাত স্বস্তিই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।



ভারতরত্নে ভূষিত হওয়ার পর কি সচিন তেন্ডুলকর বেসরকারি বিজ্ঞাপন করতে পারেন? এই প্রশ্ন নিয়েই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কমল দে নামে জনৈক ব্যক্তি। তাঁর যুক্তি দেশের সবচেয়ে বড় নাগরিক সম্মান এটি। বিভিন্ন সরকারি সম্মান পাওয়া ব্যক্তি এই ধরনের বেসরকারি বিজ্ঞাপন করবেন এটা কি যুক্তিযুক্ত? প্রথম ভারতরত্ন প্রাপক সি রাজাগোপালাচারি থেকে শুরু করে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, সিভি রামন, জহরলাল নেহেরু, ডঃ বিধানচন্দ্র রায়, জাকির হুসেন, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, ভি ভি গিরি, মাদার তেরেসা, এম জি রামচন্দ্রন, বি আর আম্বেদকর, নেলসন ম্যান্ডেলা, মোরারজি দেশাই, আবুল কালাম আজাদ, সত্যজিত্ রায়, অমর্ত্য সেন, লতা মঙ্গেশকর-সহ সচিন পর্যন্ত মোট ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ৪৪ জনই ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পর কোনও বিজ্ঞাপন করেননি। এই উদাহরণই তুলে ধরেন কমল দে। তবে আদালাত জানায়, যেহেতু যার বিরুদ্ধে এই মামলা তিনি রাজ্যেই থাকেন না, তাই অন্যত্র মামলা করতে হবে।