মহালয়ার আগেই বাংলার ক্রীড়া মানচিত্রে দেবীপক্ষ, মার্কিন মুলুক থেকে সোনা জিতে ফিরলেন উত্তরপাড়ার শম্পা
ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে মাত্র দশ জন প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
সুমন মজুমদার
চেনা-পরিচিতদের কাছে তিনি আয়রন উইম্যান। যাঁরা তাঁকে সশরীরে চেনেন না, তাঁরা আয়রন উইম্যান-এর কাণ্ড শুনে চিনে-জেনে নেন। শম্পা গুহ। সাদা পোশাকে এলে কলকাতা পুলিশের কর্মী। আর মুখে সোনার পদক কামড়ে এলে সেই তিনিই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। মহালয়ার ঠিক আগেরদিন যেন বাংলার ক্রীড়া মানচিত্রে অঘোষিত দেবীপক্ষের সূচনা করে গেলেন হুগলীর উত্তরপাড়ার শম্পা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে দেশে ফিরলেন বাংলার এই সোনার মেয়ে। দেশ, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে আপামোর বাঙালি মেয়েদের কাছেও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠলেন তিনি।
আরও পড়ুন- প্রতারিত যুবরাজ সিংয়ের মা, খোয়ালেন ৫০ লাখ টাকা
কিছুদিন আগেই কলকাতা পুলিশের তরফে মহিলা বাহিনী উইনার্স টিম গঠন করা হয়েছিল। শহরজুড়ে ইভটিজিংয়ের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই কলকাতা পুলিশের তরফে এই উদ্যোগ। মহিলা পরিচালিত সেই দলের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত শম্পা। ইউএসএ-তে সদ্যসমাপ্ত তিনদিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে মাত্র দশ জন প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মধ্যে একজন কলকাতা পুলিশের কর্মী শম্পা। ৮৮ কেজি বিভাগে সোনা জিতলেন তিনি।
আরও পড়ুন- বিদেশ সফরের গোটা সময় অনুষ্কা-সঙ্গ চেয়ে বোর্ডের কাছে দরবার কোহলির
দীর্ঘ দুই দশকের কেরিয়ার। রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এর আগেও একাধিক পুরস্কার জিতেছেন উত্তরপাড়ার শম্পা। একের পর এক পারফরম্যান্সে দেশকে গৌরাবান্বিত করেছেন তিনি। দীর্ঘ দু'দশক ধরে বাংলার এই ভারত্তোলক পরিশ্রম ও অধ্যবসায় লড়ছেন বিশ্বের তাবড় ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে।