বিদেশ সফরের গোটা সময় অনুষ্কা-সঙ্গ চেয়ে বোর্ডের কাছে দরবার কোহলির

বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রীদের থাকা কতটা সঙ্গত, এই ব্যাপারে এর আগেও বিশ্ব ক্রিকেট দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। 

Updated By: Oct 7, 2018, 11:06 AM IST
বিদেশ সফরের গোটা সময় অনুষ্কা-সঙ্গ চেয়ে বোর্ডের কাছে দরবার কোহলির

নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ বিদেশ সফর থাকলে দীর্ঘদিন পরিবারের লোকজনকে ছেড়ে থাকতে হয়। এতে মানসিক দিক থেকে একটা চাপ থাকে। ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনেকদিন ধরেই দাবি তুলছিলেন, বিদেশ সফরে যেন স্ত্রীকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয় বিসিসিআই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এতদিন পর্যন্ত সে দাবি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা তেমন একটা করেনি। এবার বিদেশ সফর চলাকালীন স্ত্রীকে সঙ্গে রাখার দাবি তুললেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি স্বয়ং। এবার কি তা হলে নড়েচড়ে বসবে বোর্ড?

আরও পড়ুন-  বাবা ঋদ্ধিমান যেন আরও বেশি দায়িত্ববান, দেখুন ছবি

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়মানুযায়ি, ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা বিদেশ সফরে থাকাকালীন মাত্র দুই সপ্তাহ নিজেদের সঙ্গে স্ত্রীকে রাখতে পারবেন। এবার বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তার কাছে আবেদন করলেন, বিদেশ সফর চলাকালীন টিমের প্লেয়ার ও স্টাফরা যেন গোটা সময়টা স্ত্রীকে নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারেন! জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্ট নিয়োযিত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)-র কাছেও পৌঁছেছে। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই ও ডায়না ও ডায়না এডুলজি এই ইস্যুতে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন বলেও খবর। সিওএ-র তরফে ভারতীয় দলের ম্যানেজার সুনীল সুভ্রমনিয়ামকে নিয়ম বদলের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে বলেও খবর। তবে এই ব্যাপারে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না সিওএ। বরং বোর্ডের পরবর্তী আলোচনাসভায় এই প্রসঙ্গ উত্থাপনের ভাবনা রয়েছে বিনোদ রাইদের।

আরও পড়ুন-  তিন দিনেই 'নির্বিষ জল ঢোড়া' শিকার করে ফেলল ভারতীয় দল

বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলছেন, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ানের স্ত্রীরা দলের সঙ্গে সফর করে। কিন্তু পুরো সময়টা থাকতে পারে না। নিয়মের গেরো থাকায় তাঁদের নির্ধারিত সময়ের পর দেশে ফিরতে হয়। বিরাট নিজে এই নিয়মে বদল চাইছেন। বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রীদের থাকা কতটা সঙ্গত, এই ব্যাপারে এর আগেও বিশ্ব ক্রিকেট দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। একটা সময় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে এই নিয়ে তীব্র ডামাডোল হয়েছিল। অ্যাসেজ হারের পর অনেকেই অজি ক্রিকেটারদের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁদের স্ত্রীদের দায়ি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কিপার ইয়ান হিলি দাবি করেছিলেন, বিদেশ সফরে স্ত্রী বা বান্ধবীদের সঙ্গ পেলে ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। 

.