ব্যাক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে টেনিসে করুণ বিদায় ভারতের
অলিম্পিক শুরুর আগে পদক জয়ের অনেক আশা ছিল টেনিসকে ঘিরে। কিন্তু ভারতীয় টেনিসের দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের বিবাদই শেষ করে দিল সব আশা। যার ফল, মঙ্গলবার অলিম্পিক থেকে ভূপতি-বোপান্না জুটির বিদায়ের পর বুধবার দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিল লিয়েন্ডার-বিষ্ণু বর্ধন জুটি।
অলিম্পিক শুরুর আগে পদক জয়ের অনেক আশা ছিল টেনিসকে ঘিরে। কিন্তু ভারতীয় টেনিসের দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের বিবাদই শেষ করে দিল সব আশা। যার ফল, মঙ্গলবার অলিম্পিক থেকে ভূপতি-বোপান্না জুটির বিদায়ের পর বুধবার দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিল লিয়েন্ডার-বিষ্ণু বর্ধন জুটি। আর এই দুই নক্ষত্রের বিদায়ের পর কাঠগড়ায় মহেশ ভূপতির পার্টনার বাছাই নিয়ে বিতর্ক।
মঙ্গলবার থেকেই পাওয়া য়াচ্ছিল আঁচ। বুধবার রাতে যেন সেই আঁচ থেকে ছড়িয়ে পড়ল বড়সড় আগুন। অলিম্পিকে ভারতীয় টেনিসের ব্যর্থতার পর কাঠগড়ায় এআইটিএফ কর্তারা। কেন দেশ বনাম ব্যক্তিস্বার্থে বারবার জিতে যান ব্যক্তি? যার ফল লজ্জায় মুখ ঢেকে যায় ভারতের! মঙ্গলবার মহেশ ভূপতির অতি লড়াইয়ে পর পাওয়া পার্টনার রোহন বোপান্নাকে নিয়ে অলিম্পিক থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বুধবার আবার ছন্দপতন। ফ্রান্সের লডরা-সঙ্গা জুটির কাছে ৪-৬, ৬-৪, ৩-৬ ফলে হেরে ডাবলস থেকে বিদায় নিল লিয়েন্ডার পেজ-বিষ্ণু বর্ধন জুটি। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে অলিম্পিকে পুরুষদের ডাবলস থেকে বিদায় নিল ভারত।
সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত এআইটিএফ। কিন্তু কেন এই ব্যর্থতা? সহজ উত্তর, দুই মহাতারকার মহাযুদ্ধ। ষষ্ঠ অলিম্পিক খেলতে চলা লিয়েন্ডারেরই পাওয়ার কথা ছিল পার্টনার বাছাইয়ের কাজ। কিন্তু লি-কে সেই সুযোগ না দিয়ে মহেশ ভূপতিই আগেভাগে বেছে নিয়েছিলেন সঙ্গী বোপান্নাকে। ভারতীয় টেনিস ফেডারেশন কোনও চেষ্টাই করেননি ভারতের সেরা জুটি লি-হেশকে এক করার। যার ফল শুধুই ব্যর্থতা। অলিম্পিক ছেলেখেলার মঞ্চ নয়। অথচ তাই ভেবেই ভারতীয় টেনিস কর্তারা যেন হেলায় টেমস নদীতে ফেলে দিলেন পদকটা!