Michael Vaughan vs Wasim Jaffer: কেন সাপে-নেউলে সম্পর্ক তাঁদের! কারণ জানালেন ভন
ভন এই প্রথম খোলসা করলেন, কেন তাঁর সঙ্গে জাফরের এই টুইট যুদ্ধ। জানান এর সূত্রপাত কবে হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যে ক্রিকেট ফ্যানরা টুইটারে নিয়মিত চোখ রাখেন, তাঁরা খুব ভাল ভাবেই জানেন যে, মাইকেল ভন (Michael Vaughan) 'বনাম' ওয়াসিম জাফরের (Wasim Jaffer) টুইট যুদ্ধ এখন রীতিমতো চর্চিত। প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক ও প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারের মধ্যে 'লড়াই' লেগেই থাকে। ভন সবসময় চেষ্টা করেন যে, ভারতীয় দল বা ভারতীয় ক্রিকেটারের কোনও না কোনও খুঁত বার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুঁচিয়ে দেওয়ার! আর ভনের মুখ বন্ধ করিয়ে দিতে দু'বার ভাবেন না রঞ্জি কিংবদন্তি। একদম স্টেপআউট করেই ভনকে মাঠের বাইরে ফেলেন জাফর।
বহু ক্রীড়া অনুরাগীরই মনে একটাই প্রশ্ন বারবার এসেছে যে, কবে থেকে ভন-জাফরের যুদ্ধের সূত্রপাত? এই প্রশ্ন ভারতীয় স্পিনার আর অশ্বিন (R Ashwin) করেছিলেন ভনকেই। অশ্বিন জানতে চান নেপথ্যের গল্পটা ঠিক কী! অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভন বলেন, "জাফর আমার প্রথম টেস্ট উইকেট। সালটা ছিল ২০০২। লর্ডসে জাফর খোঁচা দিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিল আমার বলে। বোঝাই যাচ্ছে যে, ও ভাল ব্য়াট করতে পারত না। তাহলে আমার বলে আউট হত না।"
২০০২ সালে লর্ডস টেস্টে জাফর দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধ-শতরান করেছিলেন। ভনের বলে ইংরেজ অধিনায়ক নাসির হুসেনের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর ওখান থেকেই জাফর বনাম ভনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু। অশ্বিনের ভনের কাছে প্রশ্ন ছিল নটিংহ্যাম টেস্টে সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট নিয়ে কী অনুভূতি হয়েছিল ভনের। তিনি বলেন, "সচিন সবসময় আমার কাছে ভাল ছিল। ওয়াসিমকে কিন্তু আউট করার মতো বলই করিনি। ও আউটসাইট এজ হয়েছিল। আমাদের এই মজা চলে। আমি সত্যিই উপভোগ করি। আমি নিশ্চিত, আমার এই কথা শোনার পর ও আবার একটা টুইট করবে। যদিও আমি এখন টুইটার চেক করিনি। অপেক্ষায় আছি।"
গত জানুয়ারিতে জাফরের কাছে তাঁর আর ভনের টুইট লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জাফর এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "ভনের স্বভাব আছে অহেতুক খোঁচানোর। যেটা আমি একদম পছন্দ করি না। ও কোনও সুযোগ হাতছাড়া করে না ভারতী ফ্যানদের খুঁচিয়ে দেওয়ার। যদিও আমরা জানি যে, ইংল্যান্ড কত ভাল পারফর্ম করেছে। ভন যতটা খোঁচায়, ভারতীয় ফ্যানরা ততটাও করে না। " তবে জাফর এও বলছেন যে, তাঁদের এই টুইট যুদ্ধ বন্ধুতার সুরেই বাঁধা থাকে। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারতীয় বলেন, "তবে আমাদের বিদ্রুপ বন্ধুতার মেজাজেই হয়। কারণ আমরা দীর্ঘদিন একে-অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি।" বোঝাই যাচ্ছে যে এই লড়াই চলবে এবং ফ্যানরা তা উপভোগ করবেন।
আরও পড়ুন: বেজায় চটলেন শান্ত স্বভাবের Sachin Tendulkar, কিন্তু কেন? জানতে পড়ুন
আরও পড়ুন: East Bengal New Investor Update: পদ্মাপারের বিনিয়োগেই কি লাল-হলুদ মশাল জ্বলবে!