টোলগেকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে বাগানে
সতীর্থদের কাছে গোপন রেখে হঠাত্ই অস্ট্রেলিয়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য উড়ে গিয়েছিলেন টোলগে। পরের দিন অনুশীলনে এসে ফুটবলার এমনকি কোচও জানতে পারেন তিনি এখন এদেশে নেই। টোলগের এই আচরণ ভালভাবে নেননি তাঁর সতীর্থরা। মুখে এই অসন্তোষের কথা বলে বিতর্ক বাড়াতে চাইছেন না মোহনবাগানের কোনও ফুটবলারই। পরিসংখ্যান বলছে, টোলগে ছাড়াই মোহনবাগানের পারফরম্যান্স বেশি ভাল। তিনটি ম্যাচে জয় ও একটি ড্র। বিশেষ সূত্রের খবর, ক্লাবের কোনও ফুটবলার এখনও পর্যন্ত টোলগের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি।
সতীর্থদের কাছে গোপন রেখে হঠাত্ই অস্ট্রেলিয়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য উড়ে গিয়েছিলেন টোলগে। পরের দিন অনুশীলনে এসে ফুটবলার এমনকি কোচও জানতে পারেন তিনি এখন এদেশে নেই। টোলগের এই আচরণ ভালভাবে নেননি তাঁর সতীর্থরা। মুখে এই অসন্তোষের কথা বলে বিতর্ক বাড়াতে চাইছেন না মোহনবাগানের কোনও ফুটবলারই। পরিসংখ্যান বলছে, টোলগে ছাড়াই মোহনবাগানের পারফরম্যান্স বেশি ভাল। তিনটি ম্যাচে জয় ও একটি ড্র। বিশেষ সূত্রের খবর, ক্লাবের কোনও ফুটবলার এখনও পর্যন্ত টোলগের সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। তবে কি টোলগেকে নিয়ে অসন্তোষ এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে তাঁর খবর রাখার প্রয়োজন বোধ করছেননা সতীর্থরা। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নবি। তাঁর দাবি,সালগাঁওকর ম্যাচে টোলগে খেললে ভাল হত। তবে তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘমাতে রাজি নন।
টোলগে ক্লাবকে বলেছেন ডিসেম্বরের শুরু দিকে ফিরবেন। কিন্তু ক্লাবকর্তারা সন্দেহে,তারপরেও মাঠে নামতে তাঁর সময় লাগবে! আইলিগের নিরিখে হয়ত এই ম্যাচ হাইভোল্টেজ নয়। কিন্তু মোহনবাগানের দর্শকদের চোখে মোহনবাগান-সালগাঁওকর ম্যাচ যেন ডার্বির থেকেও গুরুত্বপূর্ন। করিম বেঞ্চিরিফাকে গোয়া থেকে কার্যত ছিনিয়ে আনার পর, এই ম্যাচ ঘিরে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল একমাসেরও বেশি সময় আগে থেকে। চুক্তির কাগজ অনুযায়ী এখনও করিম সালগাঁওকরের কোচ। কিন্তু শনিবার মাঠে গোয়ার দলটির কোচের নাম ডেভিড বুথ। শনিবারের ম্যাচে যেন কাব্যে উপেক্ষিত চরিত্র হিসাবে যুবভারতীর ভিভিআইপি বক্সে থাকবেন করিম। তবে কোচ করিম নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না দলের একমাত্র ইউটিলিটি ফুটবলার রহিম নবি। সালগাঁওকরের একঝাঁক ফুটবলারকে চেনেন জাতীয় দলে খেলার সুবাদে।খেলার ধরনধারও জানেন। লুসিয়ানো-লামারেদের বল কন্ট্রোলে রাখা ফুটবলকেই বিপজ্জনক বলে মনে করেন নবি।
মৃদুলের টোটাল ফুটবল ও হেমন্ত ডোরার মাঠে দলকে তাতানোর ভঙ্গিই বদলে দিয়েছে মোহনবাগানকে। এমনটাই দাবি দলের গুরুত্বপূর্ন ফুটবলার নবির। সন্তোষ কাশ্যপ জমানায় নিয়ম ছিল,যার যা দায়িত্ব তা পালন করার। আর মৃদুল জমানায় ফুটবলারদের দায়িত্ব একটাই,দলের স্বার্থে সবাইকে সব কাজ করতে হবে। আর এই টোটাল ফুটবলই নাকি এখন মোহনবাগানকে একটা টিম হিসেবে গড়তে সাহায্য করছে। ম্যাচ চলাকালীন গোলকিপার কোচ হেমন্ত ডোরার ফুটবলারদের তাতানোর ভঙ্গিটাও দলকে সাফল্য এনে দিচ্ছে বলে মত নবির।