Fake IPL: এবার খবরে ভুয়ো আইপিএল! সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে গুজরাতের গল্প
ভুয়ো আইপিএল সফল ভাবে আয়োজন করার সামগ্রী হিসাবে পাঁচটি এইচডি ক্যামেরা, একাধিক ওয়াকি টকির জোগাড় করা হয়।
![Fake IPL: এবার খবরে ভুয়ো আইপিএল! সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে গুজরাতের গল্প Fake IPL: এবার খবরে ভুয়ো আইপিএল! সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে গুজরাতের গল্প](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/07/11/382005-fake-ipl.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সৌজন্যে আজ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট লিগের নাম আইপিএল ( IPL)। তবে বিসিসিআই বা এই আইপিএলের সঙ্গে জড়িত কারোর ভাবনাতেও আসবে না যে, একটি ভুয়ো আইপিএল (Fake IPL) অনুষ্ঠিত হতে পারে! ঠিক এমনটাই ঘটেছে গুজরাতের গ্রামে! পুলিস এর খোঁজ না পেলে নকল আইপিএলের হয়তো ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়ে যেত!
সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গুজরাতের মেহসানা জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মোলিপুরে ২১ জন শ্রমিকের সাহায্যে চলছিল ভুয়ো আইপিএল। এমনকী রাশিয়ান জুয়ারিদেরও জোগাড় করে ফেলা হায়, যারা বেটিং করে। ভুয়ো আইপিএলকে আসলের মতো দেখানোর জন্য অভিযুক্তরা যে কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা সিনেমার চিত্রনাট্যকেও বলে বলে গোল দেবে।
ভুয়ো আইপিএল সফল ভাবে আয়োজন করার সামগ্রী হিসাবে পাঁচটি এইচডি ক্যামেরা, একাধিক ওয়াকি টকির জোগাড় করা হয়। একটি খামারকে মাঠে রূপান্তরিত করা হয়। হ্যালোজেনের ব্যবহার হয় ফ্লাডলাইট হিসাবে। গ্যালারিতে দর্শকের আওয়াজ ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে বিষয়টিতে বাস্তবের ছোঁওয়া দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, রয়েছে পরতে পরতে চমক। নকল একজন ধারাভাষ্যকারকে মেরঠ থেকে নিয়ে আসা হয়, যিনি ইন-হাউস হর্ষ ভোগলের ভূমিকায় ছিলেন! এই ম্যাচ জীবন্ত প্রমাণ করার জন্য ইউটিউবে স্ট্রিম করাও হয়। বেটিংয়ের টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছে টেলিগ্রামের মাধ্যমে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মেহসানা থানার পুলিস। চারজনের বিরুদ্ধেই প্রতারণা, জুয়া খেলা ও অন্যান্য ধারায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলচক্রীর নাম শোয়েব দাবদা। পুলিস জানিয়েছে আরও একজন অভিযুক্তের খোঁজে রয়েছে তারা। যিনি রাশিয়া থেকে এই ভুয়ো আইপিএল চালানোর জন্য ইন্ধন জোগাতেন বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিস এও জানিয়েছে গ্রামের থেকেই ২১ জন শ্রমিককে নেওয়া হয়েছে। যাদের প্রতি ম্যাচের জন্য ৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তারা নানা রকমের জার্সি পরে কার্যত অভিনয় করে গিয়েছেন ক্রিকেট খেলার!
আরও পড়ুন: WATCH | Rohit-Virat: 'বিশেষজ্ঞ কারা? জানি না কেন তাঁদের বিশেষজ্ঞ বলা হয়'! বিরাটের পাশেই রোহিত