ওডাফার গোলে জয়ের বাতাস বাগানে
অবশেষে পরাজয়ের মুখভার করা পরিবেশ থেকে মুক্তি পেল মোহনবাগান। বহু প্রতীক্ষার জয় এল আই লিগে। রবিবার পুণেতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোল জয়টা বাগানে নিয়ে এল জয়ের বাতাস। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ওডাফার গোলটা অনেক স্বস্তির হাওয়া নিয়ে এল।
মোহনবাগান (১) এয়ার ইন্ডিয়া (০)
অবশেষে পরাজয়ের মুখভার করা পরিবেশ থেকে মুক্তি পেল মোহনবাগান। বহু প্রতীক্ষার জয় এল আই লিগে। রবিবার পুণেতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোল জয়টা বাগানে নিয়ে এল জয়ের বাতাস। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ওডাফার গোলটা অনেক স্বস্তির হাওয়া নিয়ে এল। কলকাতাতেও যার রেশ এসে পড়ল। অনেকেই বলতে শুরু করলেন এই শুরু এবার পালতোলা নৌকা চলবে তড়তড়িয়ে। খাতায় কলমে এখনও মোহনবাগানে কোচ নেই। সন্তোষ কাশ্যপকে ছাঁটাইয়ের পর করিম বাগানের কোচ। কিন্তু চুক্তি জটে ওডাফাদের কোচ এখন সহকারি কোচ মৃদুল ব্যানার্জি। সেই সহকারি কোচের অধীনে খেলতে নেমে মোহনবাগান ফুটবলারদের মধ্যে জয়ের আলাদা তাগিদ দেখা গেল। অবশ্য ওডাফারা দারুণ খেললেন এ কথা বলা যাবে না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ লড়াই চালালেন। গোলের পর দলকে আরও জমাট লাগল।
ম্যাচের শুরুতে টোলগেহীন মোহনবাগানে ওডাফা-স্ট্যানলি-ইচেদের খেলায় ছিল ছন্নছাড়া ভাব। ওডাফাকে পাস বাড়ানোর লোকের ছিল বড্ড অভাব। জুয়েল রাজা এদিন অবশ্য একটু নিষ্প্রভই ছিলেন। তবুও তার মধ্যে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেন ওডাফারা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। মোদ্দা কথা, প্রথমার্ধে গলদে ভরা ছিল মোহনবাগানের মাঝমাঠ। দ্বিতীয়ার্ধেই খুলে গেল মাঝমাঠ থেকে আক্রমনভাগের সরণি। সৌজন্যে ডেনসন দেবদাস। জুয়েলের জায়গায় ডেনসন মাঠে নামতেই শুরু হল আক্রমনের ফুলঝরি। উইং ধরে দৌড়,সঙ্গে মাঝমাঠে জমাট ফুটবল-দুইয়ে মিলে দুই সপ্তাহ আগে সবুজ-মেরুনে যেন দেওয়ালি। তখন বিমানকর্মীদের দলের অবস্থা,আকাশ পথে হঠাত্ই প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়লে যেমন হয় আর কি! ৭৮ মিনিটে ওডাফার বহু কাঙ্খিত গোল। বালেওয়াড়ি স্টেডিয়াম তখন নিশ্চুপ। ৮২ মিনিট থেকে ৮৬ মিনিট পর্যন্ত পরপর দুবার গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন বাগানের কিং কোবরা। স্কোরলাইন যদি ৩-০ হত, তবে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। আপাতত তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়ে কোচ মৃদুলের দল যেন আইসিইউ থেকে বেরিয়ে জেনারেল বেডে পড়ল।
কোচ করিম এখনও দলের সঙ্গে নেই। আজকের জয়টা কাকে বেশি খুশি করবে করিম না কাশ্যপ! উত্তরটা তোলা থাকল।