Lionel Messi: মেসিদের পিএসজি-র মালিকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত শুরু
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, নাসের আল খেলাইফির বিরুদ্ধে কেসকে আরও মজবুত করবে, এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং তাঁর যৌন মিলনের ভিডিয়ো নিজের কাছে বলে দাবি করেছিলেন তায়েব বেনাবদেরামান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাঠে প্যারিস সাঁ জাঁ-তেই (Paris Saint-Germain) ভালো পারফর্ম করলেও, ক্লাবের মালিক ও পিএসজি (PSG) সভাপতি নাসের আল খেলাইফি (Nasser Al Khelaifi) বেশ বেকায়দায়। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ ও নির্যাতনের (Torture and Kidnapping) মতো মারাত্মক অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। কাতারের (Qatar) এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খেলাইফির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই তিনজন ফরাসি বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কাতারের তায়েব বেনাবদেরামান নামের একজন প্রভাবশালী নেতাকে অপহরণ করার পাশাপাশি নির্যাতনও চালিয়েছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)-কিলিয়ান এমবাপেদের (Kylian Mbappe) মালিক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, নাসের আল খেলাইফির বিরুদ্ধে কেসকে আরও মজবুত করবে, এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং তাঁর যৌন মিলনের ভিডিয়ো নিজের কাছে বলে দাবি করেছিলেন তায়েব বেনাবদেরামান। সেই ঘটনা সামনে আসার পর কাতারের সেই প্রভাবশালী নেতাকে অপহরণ করার পাশাপাশি নির্যাতন করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে পিএসজি-র মালিকের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, কাতার বিশ্বকাপের আয়োজনের স্বত্ত্বাধিকার সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তায়েবের হাতে চলে গিয়েছিল। এমনকি বিইন মিডিয়াকে দেওয়া ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের টেলিভিশন সম্প্রচার অধিকার সংক্রান্ত কিছু গোপন নথিও পেয়ে যান তায়েব। ঘটনাচক্রে এই মিডিয়া হাউসটির প্রধান হিসেবেও নিযুক্ত হয়ে রয়েছেন আল খেলাইফি। তায়েবের উকিল বলেছেন, “বিষয়টি ফরাসি বিচারপতিদের তত্ত্বাবধানে আসায় আমরা খুশি। ওঁরা নিশ্চয়ই এর সঠিক তদন্ত করবেন।”
আরও পড়ুন: Just Fontaine Death: ৮৯ বছরে চিরঘুমে গেলেন এক বিশ্বকাপে ১৩ গোল করা জাস্ট ফন্টেন
আরও পড়ুন: Lionel Messi: রোনাল্ডোর সর্বকালের সেরা দলে মেসি থাকলেও, নেই সিআর সেভেন
এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে খেলাপি বলেছেন, “ওরা পেশাদার অপরাধী। নিজেদের বানানো গল্পের চেয়ে বেশি উকিল বদলেছে। বহু মানুষ আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্যি বলে মনে করছেন, এটা দেখে আমি অবাক। বিচার চলছে। সত্যি সামনে আসবেই। পেশাদার অপরাধীদের ব্যাপারে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।”
২০২০ সালে নিজের কিছু কাজে কাতারে ছিলেন তায়েব বেনাবদেরামান। সেই সময় তাঁকে আটক করে রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছিলেন নাসের আল খেলাইফি। নেইমারদের মালিকের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আল খেলাইফির বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ হল, তায়েব বেনাবদেরামানকে নাকি ছয় মাস আটকে রাখা হয়েছিল।
ফরাসি রেডিও ‘ফ্রান্স ইন্টার’–এর দাবি, আল খেলাইফির স্মার্টফোন তায়েব বেনাবদেরামানের কাছে ছিল। এর পাশাপাশি খেলাইফির বিরুদ্ধে যায় এমন নথিপত্র এবং তাঁর যৌন মিলনের ভিডিয়ো ছিল তাঁর কাছে। সেসব নথিপত্রগুলো কাতারের ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজন করার স্বত্ত্ব পাওয়া নিয়ে।
গত ডিসেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ শেষ হলেও, সেই মেগা প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বত্ত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ অনেক আগে থেকেই উঠেছিল। কাতার নাকি ফিফার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত্ব পেয়েছে। এমনটাই দাবি করে আসছিল একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম। সেই সব বিষয়ে জরুরী কাগজপত্র নাকি বেনাবদেরামানের দখলে ছিল। সেখানেই নাকি ছিল পিএসজি-র মালিকের বিরুদ্ধে একারশ মারাত্মক অভিযোগ। যদিও মেসি-নেইমারদের মালিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।