ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচে পেরিসিচের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা
থাইয়ের চোট নিয়ে ভুগছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্বকাপ অভিষেকেই ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনাল খেলেছিল। সালটা ১৯৯৮। কিন্তু সেমিফাইনালে তাদের স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। ১৯৯৮ এর পর ২০১৮। ২০ বছর পর এবার বদলার সুযোগ রয়েছে ক্রোয়েশিয়ার সামনে।
আরও পড়ুন- ফ্রান্স দলে থাকারই কথা ছিল না পাভার্দের
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেই ফাইনাল খেলার ইচ্ছে অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ান জনতার। ২০ বছর পর পুরনো সেই জ্বালা জুড়ানোর সুযোগ এবার মদ্রিচ, রাকিটিচদের সামনে। সেইসঙ্গে, নিজেদের ফুটবল ইতিহাসকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগও রয়েছে ক্রোটদের সামনে। এমন গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে ক্রোয়েশিয়ার অন্যতম সেরা তারকা ইভান পেরিসিচের খেলা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ম্যাচে ৬৮ মিনিটে সমতাসূচক গোলে ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচে ফেরান পেরিসিচ। তবে থাইয়ের চোট নিয়ে ভুগছেন তিনি। সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলে উঠে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মস্কোর এক হাসপাতালে চিকিৎসাও হয়েছে পেরিসিচের। বাঁ পায়ের থাইয়ের পেছনের অংশ ফুলে রয়েছে তাঁর। প্র্যাকটিসে তাঁকে দেখা গিয়েছে আইসপ্যাকও বেঁধে রাখতে।
আরও পড়ুন- রোনাল্ডোর এবার অবসরের পালা, ইঙ্গিত এজেন্টের
নক আউট পর্বে ক্রোয়েশিয়ার তিনটে ম্যাচই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে পৌঁছেছিল। ফলে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ব্যাপার ছিল। ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত দলকে চাঙ্গা করার জন্য কোচ দালিচ ফুটবলারদের গোটা একটা দিন বিশ্রামও দিয়েছিলেন। অন্য সবাই তাতে অনেকটা ঝরঝরে হতে পারলেও পেরিসিচকে সেদিন ছোটাছুটি করতে হয়েছে মস্কোর হাসপাতালে। কোচ দালিচ অবশ্য আগাম কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। কোচ বলছিলেন, ''চোটের সমস্যা সেমিফাইনালের আগেও ছিল। সেই চোট নিয়েই অনেকে দিব্যি মাঠে নেমে দলকে ফাইনালে তুলেছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেও আমাদের যথেষ্ট সমস্যা ছিল। ফাইনালের আগে যত বড় সমস্যাই হোক না কেন, সবাই মাঠে নামতে চেয়েছে। এই দলটির কোচ হতে পেরে তাই আমি ভীষণ গর্বিত।'' এদিকে, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন পেরিসিচ। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন, হাজারো সমস্যা হলেও তিনি শেষমেশ ফাইনালে নামার চেষ্টা করবেন।