Ranji Trophy: ‘স্পেশাল ট্যালেন্ট’ Abishek Porel-কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বঙ্গব্রিগেড
‘লম্বা রেসের ঘোড়া’।
![Ranji Trophy: ‘স্পেশাল ট্যালেন্ট’ Abishek Porel-কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বঙ্গব্রিগেড Ranji Trophy: ‘স্পেশাল ট্যালেন্ট’ Abishek Porel-কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বঙ্গব্রিগেড](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/02/20/365605-bengalsix.jpg)
সব্যসাচী বাগচী: অভিষেক রঞ্জি ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন অভিষেক পোড়েল। ম্যাচের শুরুতে দস্তানার দাপট দেখিয়েছিলেন। মোক্ষম সময় দেখালেন তাঁর ব্যাটের দাপট। তাই চন্দননগরের এই ইউটিলিটি ক্রিকেটারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বঙ্গব্রিগেড।
প্রথম ইনিংসে তিনটি দুরন্ত ক্যাচ নেওয়ার পর ১৯ বলে করছিলেন ২১ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আরও চাপের মুখে নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। মনেই হয়নি এক তরুণ তাঁর অভিষেক রঞ্জি খেলছেন! শাহবাজের ১০০ বলে অপরাজিত ৭১ রান মূল্যবান হলে, অভিষেকের ৭০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান সোনায় বাঁধানো। সপ্তম উইকেটে ১৩৪ বলে অবিচ্ছেদ্য ১০৮ রান ম্যাচের রঙ বদলে দিল।
তাই তো বাংলা দল তাদের সুদীর্ঘ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার পর হেড কোচ অরুণ লাল জি ২৪ ঘণ্টাকে বলে দিলেন, “অনেক বছর ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। এটা আমার দেখা বাংলার অন্যতম সেরা জয়। শেষ দিন চাপের মুখে রান তাড়া করে জেতার জন্য শাহবাজ ও অভিষেককে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে আমাদের বোলারদের কথা ভুলে গেলেও চলবে না। আমাদের পেস বোলিং ভারতসেরা। তাই তো যে কোনও পরিস্থিতিতে আমারা বিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে পারি।“
এরপরেই এলেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য অভিষেকের প্রসঙ্গে। জি ২৪ ঘণ্টার কাছে অরুণ লালের প্রতিক্রিয়া, “অভিষেক স্পেশাল ট্যালেন্ট। সেটা অভিষেক ম্যাচেই বুঝিয়ে দিল। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার যে এ ভাবে ম্যাচ জেতাতে পারে তা খুব কমই দেখেছি। শুধু প্রতিভাবান বলব না, অভিষেক অনেক বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে। ভবিষ্যতে ওকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখলে অবাক হব না। কারণ, জাত ক্রিকেটারকে প্রথম দর্শনেই চেনা যায়। ওর সাহসিকতাকেও কুর্নিশ জানাই। যে সময় ও ব্যাট করতে নেমেছিল তখন উইকেটে বল অনেক টার্ন করছিল। আকাশও মেঘলা ছিল। সঙ্গে হাওয়া দিচ্ছিল। এমন প্রতিকুল পরিস্থিতিতে অভিষেক লড়ে গেল। ও লম্বা রেসের ঘোড়া।“
কোচবিহার ট্রফিতে বাংলা দলের কোচ ছিলেন সৌরাশিস লাহিড়ী। সেই প্রতিযোগিতায় পাঁচ ম্যাচে ৭০৮ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সঙ্গে ছিল তিনটি শতরান ও তিনটি অর্ধ শতরান। সেখানে ভাল পারফরম্যান্স করার সুবাদে যুব বিশ্বকাপে রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্য ছিলেন চন্দননগরের এই ছেলেটি।
অভিষেকের উত্থান খুব কাছ থেকে দেখা এই প্রাক্তন অফ স্পিনার বলছেন, “অভিষেক ম্যাচেই এমন কৃতিত্ব খুব কম ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে দেখেছি। মনোজ আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছিল অভিষেক। সেই সময় প্রবল চাপের মুখে চার বলে তিনটি চার মারে অভিষেক। এখানেই ওর মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।“
বহু যুদ্ধের নায়ক মনোজ তিওয়ারির কাছ ‘রঞ্জি ক্যাপ’ পেয়েছিলেন। ঋদ্ধিমান সাহা-র বদলি হিসেবে মাঠে নেমে দেখালেন দাপট। রাজকীয় অভিষেক ঘটিয়ে এই তরুণের পথচলা সবে শুরু হল। মাথা ঠাণ্ডা রেখেই এগিয়ে যেতে চান ‘লম্বা রেসের ঘোড়া’।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: অবিশ্বাস্য কামব্যাক! Shahbaz,Abishek-এর দাপটে বরোদাকে হারাল Abhimanyu’র বাংলা
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: ‘ক্রাইসিস ম্যান’ Shahbaz, রাজকীয় ‘অভিষেক’ ঘটানো Porel-এর ব্যাটে নতুন বাংলার উদয়