নিজস্ব প্রতিবেদন: বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ২০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৭১। সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও সেই একই ঘটনার রিমেক। এ বার প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করার পরেও থেমে যাননি। বরং দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ব্যাটিংয়ের হাল যখন বেহাল, তখন ৫১ রান করে বাংলাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে আনলেন। সঙ্গে ছিল ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া বোলিং। মোক্ষম সময় বাঁহাতি স্পিনার জাদু দেখালেন। নিলেন ৪১ রানে ৩ উইকেট। স্বভাবতই জোড়া ম্যান অফ দ্য ম্যাচ'-এর পুরষ্কার পেলেন এই অলরাউন্ডার। একক দক্ষতায় দল পরপর দুই ম্যাচ জেতালেও বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন বঙ্গব্রিগেডের 'ক্রাইসিস ম্যান'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টিম হোটেলে ফিরে জি ২৪ ঘণ্টাকে টেলিফোনে শাহবাজ বলেন, "প্রথম ইনিংসে এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল। অভিষেক পোড়েল ভাল ব্যাট করেছে। আমি চেষ্টা করব আমার ইনিংসগুলি আরও বড় রানের করার। সকলে এই জয়ের অংশীদার। ভাল লাগছে জিতে।" 


বাংলার জার্সি গায়ে তুলে নেওয়ার পর থেকে সাত নম্বরে ব্যাট করেন। দলের প্রয়োজনে তুলে নেন উইকেট। এই সাফল্যের রহস্য জানালেন কয়েক বছর আগে স্থানীয় ক্রিকেটে পরিচয়পত্র ভাঁড়ানোর অভিযোগে সাময়িকভাবে নির্বাসিত হওয়া শাহবাজ। কিন্তু সেই কালো অতীত ভুলে তিনি এখন বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। 



তিনি যোগ করেন, "গত তিন বছর বাংলার হয়ে খেলার সময় থেকেই তিন নম্বরে ব্যাট করি। কঠিন সময় ব্যাট করতে এমনিতেই পছন্দ করি। দলের জন্য সেটাই পালন করার চেষ্টা করেছি। ৬ পয়েন্ট দিতে পেরে খুশি।" 


৮৫ রানে ৬ উইকেট চলে গেলেও হাল ছাড়েননি তিলক। এ বার প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে অপরাজিত থাকা রবি তেজাকে নিয়ে ফের লড়াই শুরু করলেন। সপ্তম উইকেটে জুড়ে গেল ৪৯ রান। বাংলা ড্রেসিংরুমের যখন চাপ যখন বাড়ছে, ঠিক তখন বল হাতে জ্বলে উঠলেন 'ক্রাইসিস ম্যান' শাহবাজ। বল হাতে নিয়েই ফর্মে থাকা রবি তেজা ও তনয় ত্যাগরাজনকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ব্যস খেল খতম। কিছুক্ষণের মধ্যে ১৬৬ রানে গুটিয়ে হায়দরাবাদ। 


কোন ছকে তিনি পরপর দুই উইকেট তুলে নিলেন? শাহবাজ বলছেন, "শেষ দিনের পিচ মন্থর হয়ে গিয়েছিল। বাঁহাতি স্পিনারদের জন্য পিচে একটা ক্ষত তৈরি হয়েছিল। সেটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। ব্যাটারদের ধন্দে ফেলে দিয়েছিলাম। তাছাড়া আমি যখন বল করতে এসেছিলাম তখন হায়দরাবাদে একাধিক বাঁহাতি ব্যাটার ছিল। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে তিন উইকেট পেলাম।" 


হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপ বি-র শীর্ষে বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে হায়দরাবাদ। বরোদা এবং চণ্ডীগড়ের পক্ষে বাংলার পয়েন্ট ছোঁয়া সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় নক আউট পর্বে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত বাংলার। কিন্তু তবুও জয় ছাড়া অন্য কিছুর কথা ভাবছেন না শাহবাজ ও তাঁর সতীর্থরা। ৩ মার্চ থেকে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে নামবে বাংলা। তিনে তিন করে নক-আউটে যাওয়ার জন্য এখন থেকেই ছক কষতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ ব্রিগেড। 


আরও পড়ুন: Ranji Trophy: দুরন্ত বোলিং, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে নক আউটে লড়াকু বাংলা


আরও পড়ুন: Ranji Trophy: রোমহর্ষক ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট থেকে Manoj Tiwary-র ব্যর্থতা, কাটাছেড়ায় Arun Lal, Saurasish


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)