Gurpreet Singh Sandhu: `৫ ফুট ৪` হলে পেনাল্টি বাঁচাতে পারতাম না`! বলছেন কান্তিরাভার কাণ্ডারি
Gurpreet Singh Sandhu raises the decibel: গুরপ্রীত সিং সান্ধু যে `দ্য ওয়াল`, তা নিয়ে কারোর কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না। ভারত-লেবানান সেমিফাইনালে ফের একবার গুরুপ্রীত দেখিয়ে দিলেন যে, তিনি তে-কাঠির নীচে কেন অপ্রতিরোধ্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত-লেবানন (India vs Lebanon) রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়েছে টাইব্রেকারে। সুনীল ছেত্রীর ব্ল্যু টাইগার্স শ্যুটআউটে, ৪-২ গোলে লেবানিজদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করেছে কুয়েতের বিরুদ্ধে। ফের একবার শোস্টপার হয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন দেশের এক নম্বর গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু (Gurpreet Singh Sandhu)। তাঁর বিশ্বস্ত দস্তানাই হয়ে উঠেছিল কান্তিরাভার কাণ্ডারি। ১২০ মিনিটের পর ম্যাচের ভাগ্য ঠিক যাঁর হাতে ছিল, সেই গুরপ্রীতই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। ম্যাচের পর ৩১ বছরের গোলকিপার বলছেন যে, ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির উচ্চতাই তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো।
আরও পড়ুন: SAFF Cup: সাফ কাপের ফাইনালে ভারত, টাইব্রেকারে ধরাশায়ী লেবানন
খেলার পর মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে ম্যাচের নায়ক গুরপ্রীত বলেন, 'দেখুন এরকম পরিস্থিতিতে একজন কিপার হিসেবে আমার কাজই হচ্ছে, যে পেনাল্টি নিচ্ছে তার কাজটা কঠিন করে দেওয়া। সে জেন সহজে আমাকে টপকাতে না পারে। একটা দিক বুঝে নিয়ে, আমি শুধু দাঁড়িয়ে থাকতে চেয়েছিলাম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যেদিকে বল আসবে সেদিকে ছুঁয়ে দেব। বাকিটা বুঝে নেব। যে পেনাল্টি নিচ্ছে, সে মাথায় ঠিক কী ভেবে নিয়েছে, সেটা বুঝে নিলে কাজ হবে না। কারণ যে কোনও ট্রিকি প্লেয়ার যদি দেখে, গোলকিপার নড়াচড়া করছে বা চিট করছে, তাহলে সে বুঝে ফেলে, অন্যদিকে মারবে। আমার কাজই হচ্ছে নিজের যোগ্যতার উপর ভরসা রাখা ও পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ নেওয়া।'
গুরপ্রীত একমাত্র প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে উয়েফা ইউরোপা লিগ খেলার রেকর্ডধারী। নরওয়ের ক্লাব স্তাবেক এফসি-তে খেলেছেন। অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে বলেছেন, 'অবশ্যই অভিজ্ঞতা সাহায্য করে। আমি ৫ ফুট ৪ হলে পেনাল্টি বাঁচাতে পারতাম না। নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। সব পেনাল্টি বাঁচানো যায় না। কিন্তু পেনাল্টি যে নিচ্ছে, তার ভাবনা বুঝে নেওয়া যায়। বিভিন্ন পজিশনে খেলা ফুটবলার নানারকম ট্রিক করে, ১০ নম্বর জার্সিধারী এক ভাবে মারবে, হতে পারে সেন্টার ব্যাক বা সেন্টার ফরোয়ার্ড কিছু একটা ভেবে নিয়ে খেলবে। সে একদিকেই মারবে। আমি আনন্দিত যে, আমার দলের প্লেয়ারদের সঙ্গেই আমার এসব ট্রেনিং হয়। কারণ আমাদের টিমেই অসাধারণ পেনাল্টি নেওয়ার মতো প্লেয়াররা রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে যা ভীষণ সাহায্ করে।'