ভারত: ২০২/১০ (রাহুল-৫০, অশ্বিন-৪৬) ও ১৬৬/১০ (রাহানে ৫৮, পূজারা-৫৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৯/১০ (পিটারসেন-৬২, বাভুমা-৫১, শার্দূল-৬১/৭) ও ১১৮/২ (শার্দূল-২৪/১, অশ্বিন-১৪/১, এলগার ৪৬*, মার্কারাম ৩১)
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ১২২ রান।
ভারতের দরকার ৮ উইকেট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: পেন্ডুলামের মতো দুলছে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেখানে জিততে দুটো দলই। ভারত (Team India) যদি বোলারদের দাপটে জিতে যায় তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) মাটিতে প্রথম বার টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে। আর প্রোটিয়াস অধিনায়ক ডিন এলগারের (Dean Elgar) ব্যাটের উপর ভরসা করে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায় তাহলে সমতা ফেরাবে তাঁর দল। কারণ এলগারের দল সমতা ফেরানোর জন্য মাত্র ১২২ রান দূরে রয়েছে। সেখানে ভারতীয় দলের দরকার ৮ উইকেট। 


তবে ইতিহাস কিন্তু প্রোটিয়াসদের পক্ষে নেই। গত ১১ বছরে শেষ ইনিংসে ২০০ রানের বেশি তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতেছে মাত্র একবার। জোহানেসবার্গের পিচে ভারত যখন শেষ বার জিতেছিল, তখন প্রোটিয়াসদের টার্গেট ছিল ২৪১ রান। তবে ২০১৮ সালে এলগারের অপরাজিত ৮৬ রানের পরেও ৬৩ রানে টেস্ট জিতেছিল বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া। তবে ম্যাচের ফলাফল যাই হোক এলগার কিন্তু ভারতীয় পেসারদের আগুনে পেসের গোলাগুলি হজম করে একাই লড়ে গেলেন। তৃতীয় দিনের শেষে তিনি যখন মাঠ ছাড়ছেন তখন এলগারের নামের পাশে লেখা অপরাজিত ৪৬ রান। তাই এই ভারতের ইতিহাস গড়ার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে হলে তাঁকে বড় রান করতেই হবে। 


ভারতের দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে এ দিন অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন প্রোটিয়াসরা। বিশেষ করে এলগার। শুরু থেকে বুমরা, শামিদের আগুনে বোলিং সামলে ইনিংসের হাল ধরে রেখেছেন তিনি। শুরুতে তাঁকে সঙ্গ দিলেন আইডেন মার্কারাম। তাঁকে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur)। মার্কারাম ৩৮ বলে ৩১ রানে আউট হন। তিনি ফেরার পর এলগারের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন কিগান পিটারসেন। পিটারসেনকে (২৮) আউট করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ৯৩ রানে ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর ভ্যান ডার ডুসেনকে লড়াই জারি রাখেন প্রোটিয়াস অধিনায়ক। দিনের শেষে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। ১১ রানে অপরাজিত রইলেন ভ্যান ডার ডুসেন। দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২ উইকেটে ১১৮ রান। ফলে জয়ের জন্য আর মাত্র ১২২ রান করতে হবে এলগারদের। 


আরও পড়ুন: SAvsIND: দায়বদ্ধতা দেখিয়ে কেপটাউনে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন Virat Kohli, ভিডিও দেখুন


আরও পড়ুন: SAvsIND: Rishabh Pant-এর শট ক্ষমার অযোগ্য! সটান বলে দিলেন ক্ষুব্ধ Sunil Gavaskar



এ দিকে দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটের বিনিময়ে ৮৫। কেএল রাহুল ও ময়ঙ্কের উইকেটের পতনের পর পূজারা এবং রাহানে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন। সেই জুটিই এদিন ভারতের স্কোর পৌঁছে দিলেন দেড়শো রানের ওপারে। দলগত ১৫৫ রানের মাথায় আউট হন রাহানে। রাহানে করেন ৫৮ রান। কিছুক্ষণ বাদে ফিরে যান পূজারাও । তিনি থামেন ৫৩ রানে। এরপর পন্থ, দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। ১৬ রান করে ফিরে যান অশ্বিনও। শেষ দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন হনুমা বিহারী এবং শার্দূল ঠাকুর। বিহারী করেন অপরাজিত ৪০ এবং শার্দূল ৫টি চার এবং একটি ছয় মেরে করেন ২৮ রান। ফলে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৬৬ রানে। 


প্রথম ইনিংসে খারাপ ভাবে আউট হওয়ার জন্য পূজারা ও রাহানের টেস্ট কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও প্রবল চাপের মুখে ভারতের ইনিংসকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে বাঁচালেন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যাদের টেস্ট কেরিয়ারই কিনা এখন বড়সড় প্রশ্নের মুখে। মূলত পূজারা এবং রাহানের শতরানের জুটিতে ভর করেই জোহানেসবার্গ টেস্টে প্রোটিয়াসদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকল ভারত। বাকিটা এখন বোলারদের হাতে। 


মজার ব্যাপার হল শেষ বার ২০১৮ সালে ২৪১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেড। তবে মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও জসপ্রীত বুমরার দাপটে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়াসরা। এ বার ভারতের বোলাররা সেই ম্যাচের স্মৃতি ফিরিয়ে ফের একবার জোহানেসবার্গে জিততে পারবে? সেটা হলে কিন্তু রামধনুর দেশে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জেতার ইতিহাসও গড়বে ভারতীয় দল। তবে এলগার যে বুক চিতিয়ে এখনও লড়ছেন। 


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App