SAvsIND: ব্যাটিং-বোলিং সব বিভাগে ব্যর্থ, একদিনের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা হজম করল ভারত
মাঠের বাইরের খেলার জন্য লজ্জা ‘উপহার’ দিল তারকাখচিত টিম ইন্ডিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৭/১০ (ডি কক-১২৪, ডুসেন-৫২, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা- ৫৯/৩)
ভারত: ২৮৩ (কোহলি-৬৫, ধওয়ান-৬১)
৪ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
নিজস্ব প্রতিবেদন: টেস্টের পর একদিনের সিরিজেও একরাশ লজ্জা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের ‘উপহার’ দিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দীপক চাহার (Deepak Chahar) শেষ দিকে লড়াই করলেও, ফের একবার মিডল অর্ডার গয়ংগচ্ছ মনোভাব দেখানোর জন্য তৃতীয় একদিনের ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা হজম করল রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ও কেএল রাহুলের (KL Rahul) ভারতীয় দল।
ভুবনেশ্বর কুমারের পরিবর্তে এ দিন দলে জায়গা পেয়েছিলেন চাহার। হাত ঘুরিয়ে যেমন ৫৩ রানে ২উইকেট তুলে নিয়েছিলেন, তেমনই ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা একের পর এক ব্যর্থ হতে দলের হাল ধরেছিলেন চাহার। ৫টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে করেছিলেন ৩৪ বলে ৫৪ রান। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না তিনিও। পরপর উইকেট খুইয়ে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচে পরাস্ত হল রাহুল অ্যান্ড কোং। কেপ কাউনে হারের হতাশাতেই যেন ফ্য়াকাসে হয়ে গেল বিরাট কোহলি (৬৫) ও শিখর ধওয়ানের মারকাটারি ৬১ রানের ইনিংস।
এর আগে কেপটাউনে আয়োজিত তৃতীয় একদিনের ম্যাচে এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছিলেন কুইন্টন ডি কক। শেষ ম্যাচে ফর্মে ফিরে শতরান করলেন এই উইকেটকিপার। তেমনই এই শতরান করে এবি ডিভিলিয়ার্সকে ছুঁয়ে ফেললেন ডি কক। আর তাঁর এই ইনিংসের জন্যই টিম ইন্ডিয়ার বোলিং ব্যর্থতা আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল। কারণ ডি ককের ১২৪ রানের সৌজন্যে ২৮৭ রান তুলে নিয়েছিল প্রোটিয়াসরা।
এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে ৩২টি একদিনের ম্যাচে ৬টি শতরান করেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। ডি কক তাঁর প্রাক্তন সতীর্থকে ছুঁয়ে ফেললেন। তবে মাত্র ১৭টি ম্যাচে ৬টি শতরান করার নজির গড়ে ফেললেন তিনি। ডি কক ও ডিভিলিয়ার্সের এই তালিকায় গ্যারি কার্স্টেন, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসিসের মতো ব্যাটারের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: SAvsIND: মা Anushka-র কোলে একরত্তি Vamika, Virat Kohli-র অর্ধ শতরান হতেই ছবি ভাইরাল
আরও পড়ুন: SAvsIND: ব্রাত্য Ruturaj Gaikwad! KL Rahul-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনরা
এ দিন টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কেএল রাহুল। ৭০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে একটা সময় ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টেম্বা বাভুমার দল। তবে চাপে দমে না গিয়ে সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন ডি কক। সঙ্গী ছিলেন চলতি সিরিজে দুরন্ত ফর্মে থাকা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (Rassie van der Dussen)।
দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে ১৪৪ রান যোগ করেন। এরপর ১৩০ বলে ১২৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান ডি কক। এই ইনিংসে মেরেছিলেন ১২টি চার ও ২টি ছয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ভ্যান ডার ডুসেন। করেছিলেন ১২৯ ও ৩৭ রান। এ বার ব্যাট থেকে এল ৫৯ বলে ৫২ রান। মারলেন ৪টি চার ও ১টি ছয়। ডেভিড মিলার বিস্ফোরক মেজাজে ৩৮ বলে ৩৯ রান করে যান। ফলে ২৮৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতীয় দল এই ম্যাচে চারটি বদল করেছিল। মাঠে নেমেই জাত চেনালেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। এই তরুণ পেসার ৫৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। জসপ্রীত বুমরা ও দীপক চাহার নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
২০১৭-১৮ মরশুমের সফরে টেস্ট সিরিজ হারলেও, সীমিত ওভারের সিরিজ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এ বার তো সেই সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের পর শুধু একের পর এক ব্যর্থতা। আর সঙ্গী ছিল বেশ কিছু মাঠের বাইরের বিতর্ক। তাই তো এমন তারকাখচিত দল ‘অনভিজ্ঞ’ প্রোটিয়াসদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করল। আর তাদের সঙ্গী হল একরাশ লজ্জা।