ছন্নছাড়া পরিস্থিতি! অলিম্পিক থেকে এবার হয়তো খালি হাতেই ফিরতে হবে ভারতীয় অ্যাথলিটদের
যাবতীয় ন্যাশনাল ক্যাম্প শুরু হতে দেরি হয়েছে। কোয়ারান্টিনের নিয়ম নিয়ে ছিল বিস্তর ধোঁয়াশা এবং সর্বোপরি ছিল না কোনো প্রতিযোগিতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা আসন্ন টোকিও অলিম্পিকের। কিন্তু কতটা তৈরী ভারতের অ্যাথলিটরা? করোনার জেরে লকডাউন ছিল দেশজুড়ে। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে প্রস্তুতি প্রায় হয়নি বললেই চলে। আইপিএলের হাত ধরে ক্রিকেট ফিরলেও তা হয়েছে আরব আমিরশাহিতে। ফুটবলের সবথেকে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আইএসএল সবে শুরু হয়েছে গোয়ায়। যেখানে সব খেলোয়াড়কে বাধ্যতামূলক বায়ো বাবলে থাকতে হচ্ছে। তবে অলিম্পিকে যাবেন যাঁরা, তাদের জন্য এই বছর হতাশা ছাড়া আর কিছুই বোধহয় আনতে পারেনি।
যাবতীয় ন্যাশনাল ক্যাম্প শুরু হতে দেরি হয়েছে। কোয়ারান্টিনের নিয়ম নিয়ে ছিল বিস্তর ধোঁয়াশা এবং সর্বোপরি ছিল না কোনো প্রতিযোগিতা। খুব কমসংখ্যক ইভেন্টেই পদকের প্রকৃত আশা আছে ভারতের।। ব্যাডমিন্টন, টেনিস, কুস্তি, হকি, সর্বত্রই চিত্র এক। একমাত্র বক্সিংয়ে চিত্র কিছুটা হলেও আলাদা। প্রত্যেকটি খেলার কোচেরাও ফিরে গিয়েছেন। পরিস্থিতি এমনই যেখানে বলাই যায়, একক প্রয়াসে যদি কেউ কিছু না করতে পারেন, তাহলে আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পদক জয়ের আশা খুবই কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চিন এবং ইওরোপের বিভিন্ন দেশ তিন থেকে চার মাস আগে থেকেই জোরকদমে শুরু করেছে প্রস্তুতি। কিছু দেশ তাদের অ্যাথলিটদের জন্য আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতারও।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ অলিম্পিকের সোনার পদক; একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন পি ভি সিন্ধু
অলিম্পিকে বেশীরভাগ ইভেন্টেই কোয়ালিফাইং রাউন্ডের মাধ্যমে পৌছতে হবে। ভারতের অ্যাথলিটদের জন্য যা কঠিন হতে চলেছে। ভারতের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন গত মার্চ থেকে ইতিমধ্যেই তিনবার ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলির সূচি পরিবর্তন করে ফেলেছে। পাতিয়ালার ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রি, চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ওপেন এবং ফেডারেশন কাপ ভেস্তে গিয়েছে। পুরো মরসুমেই আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় অ্যাথলিটদের হাই-পারফরমেন্স ডিরেক্টর ছিলেন জার্মানির ভোকার হারম্যান। নভেম্বরে তিনিও দায়িত্ব ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বারবার কোচ বদল যে খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলতে বাধ্য, তা বলাই বাহুল্য।
শুক্রবারই লিয়েন্ডার কলকাতায় এসে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেই ট্রেনিং শুরু করেছেন। ইংল্যান্ড থেকে পিভি সিন্ধুও জি ২৪ ঘন্টাকে জানান, তিনি শারীরিক সক্ষমতা ও ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য এই মুহুর্তে গেটোরেড স্পোর্টস ও সাইন্স ইনস্টিটিউটে রয়েছেন। সময় খুবই কম। এই মুহুর্তেই যদি সমস্যা না মেটানো যায়, সেক্ষেত্রে অলিম্পিক থেকে খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে ভারতকে।