ইস্টবেঙ্গলে আসা হল না সোনি নর্ডির, নেপথ্যে মোহনকর্তারা
সোনি নর্ডির হাত ধরেই দীর্ঘদিন বাদে বহু প্রতীক্ষিত আই লিগ জিতেছিল মোহনবাগান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওস্তাদের মার শেষ রাতের মতো মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মোহনবাগান কর্তারা। প্রায় পাকা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে চাপানো হচ্ছে না সোনি নর্ডির। সম্ভবত মালয়েশিয়ার ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন হাইতির ফুটবলার।
একটা সময় লালহলুদে আসা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল হাইতিয়ান ম্যাজিশিয়ানের। ইস্টবেঙ্গলের লোভনীয় প্রস্তাবে সম্মতিও দিয়েছিলেন সেই সময় আসরে নামেন মোহনবাগান কর্তারা। বাগান সমর্থকদের কথা বিবেচনা করতে বলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে না আসার সিদ্ধান্ত নেন সোনি। এরপর খুব সম্ভবত মালয়েশিয়ার কোনও ক্লাবে যাচ্ছেন তিনি।
সোনি নর্ডির হাত ধরেই দীর্ঘদিন বাদে বহু প্রতীক্ষিত আই লিগ জিতেছিল মোহনবাগান। হাইতিয়ান ফুটবলারকে দলে নিতে একসময় হাতও বাড়িয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কিন্তু সবুজ-মেরুন জার্সিতেই খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সোনি। বাগান জার্সিতে খেলার সময়ই হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। চোট এতটাই গুরুতর হয় যে, হাঁটুতে অস্ত্রোপচারও করতে হয়। তবে অস্ত্রোপচারের পর গত মরশুমে ফিরে এসেছিলেন সবুজ-মেরুনেই। সোনির কামব্যাক ইনিংস অবশ্য ভালো হয়নি। এমনকি গত আই লিগে সোনি থাকাকালীন ডার্বিতেও হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। গত মরশুম শেষ হওয়ার পরই দেশে ফিরেছিলেন সোনি। তারপর যোগ দেন আজারবাইজানের ক্লাব এফসি জিরাতে। সালভা চামরোর ব্যর্থতা আর কলিনাসের চোটের পর সোনির বাগানে ফেরার জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে বাবা দিওয়ারা আর কোমরন তুরসনভকে নিয়ে আসেন বাগান কর্তারা।
শনিবার আজারবাইজানের ক্লাবের সঙ্গে সোনির সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর আবারও তার ভারতে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই জল্পনা বিনষ্ট হল অঙ্কুরেই। শতবর্ষের বছরে চমক দিতে পারলেন না লাল-হলুদ কর্তারাও।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে মেগা বৈঠক ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের