নিজস্ব প্রতিনিধি : তিনি একটু বেশিই আবেগপ্রবণ। নিন্দুকেরা বলেন, তিনি মাঠের মতো মাঠের বাইরেও সমান আগ্রাসী। তাঁর আগ্রাসনের স্ফূলিঙ্গ থেকে ছাড় পান না কেউ। তা সে সাংবাদিক হলেও রেহাই নেই। সাধারণ ক্রিকেটপ্রমী হলে তো নয়ই। বিরাট কোহলির আগ্রাসন কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছেও। কখন কোন মঞ্চ থেকে বিরাট কী বলে ফেলেন, তা নিয়ে চিন্তিত বোর্ড কর্তারাও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ১১.৫ কোটির উনাদকটকে ছেড়ে নির্বাসিত স্মিথকে ধরে রাখল রাজস্থান


কিছুদিন আগে জন্মদিনে একটি অ্যাপ লঞ্চ করেছিলেন বিরাট। উদ্দেশ্য ছিল, সেই অ্যাপ-এর মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা। বিরাট কোহলি সেটাই শুরু করেছিলেন নির্বিঘ্নে। বিপদ ঘটল এক ক্রিকেটপ্রেমীর বলা কয়েকটা কথায়। সেই ভক্ত টুইটে লিখেছিলেন, ''বিরাট কোহলি ওভাররেটেড ব্যাটসম্যান। ওর ব্যাটিংয়ে আমি কিছু স্পেশাল দেখতে পাই না। ভারতীয়দের থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখতে আমি বেশি পছন্দ করি।'' তার পরই বিরাটের আগ্রাসী সত্ত্বা বেরিয়ে আসে। তিনি সেই ক্রিকেটপ্রমীকে পাল্টা দিয়ে বলে বসেন, ''আমার মনে হয় আপনার অন্য কোনও দেশে গিয়ে থাকা উচিত। আপনি এই দেশে বসবাস করবেন আর অন্য দেশকে ভালবাসবেন! আমি আমাকে পছন্দ না-ই করতে পারেন। তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু আমার মনে হয় আপনার এই দেশ থেকে বেরিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকা উচিত। আপনি সবার আগে নিজের অগ্রাধিকার ঠিক করুন।'' বিরাটের এমন মন্তব্য নিয়ে বোর্ডের অন্দরমহলে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এবার সিওএ কমিটির তরফে বিরাটকে নির্দেশিকা পাঠানো হল।


আরও পড়ুন-  দীর্ঘ সাত বছর পর রঞ্জি ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন বাংলার আম্পায়ার অভিজিৎ


অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিরাটকে স্লেজিং প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে বিরাট সাফ জানিয়ে দেন, অজিরা স্লেজিং করলে তাঁর দলও পাল্টা দেবে। তবে ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটার আগে থেকে স্লেজিং করবে না বলে দাবি করেছিলেন কোহলি। যদিও বিরাটের এহেন মন্তব্যটিও সিওএ কমিটির সদস্যরা ভাল চোখে নেননি। সিএও সদস্যদের তরফে বিরাটকে হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ দেওয়া হয়, 'অস্ট্রেলিয়ায় নিজের আচার-ব্যবহার ঠিক রেখো।' কোনও পরিস্থিতিতেই কোনওরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মেজাজ হারানো চলবে না। এর পর বিরাটকে সিওএ-র তরফে ফোন করেও একই কথা বলা হয়।