Virat Kohli: একদিনের দলের অধিনায়ক হিসেবে কোহলির ভবিষ্যৎ কী? জানতে পড়ুন
একদিনের ক্রিকেটে বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ভারতীয় ক্রিকেট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাসের)-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি 'ওমিক্রন' ( Omicron) হানায় জেরবার। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বিসিসিআই (BCCI) কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। বরং আসন্ন সফর যাতে আয়োজন করা যায় সেটা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে আলোচনা চলছে। কেন্দ্র সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিলেই দল নির্বাচন করা হবে। আর এখানেই জড়িয়ে রয়েছে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভাগ্য। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের একদিনের সিরিজে টিম ইন্ডিয়াকে (Team India) নেতৃত্ব দেবেন? নাকি রোহিত শর্মার হাতে পুরো সীমিত ওভারের দায়িত্ব তুলে দেবে চেতন শর্মার (Chetan Shamra) জাতীয় নির্বাচক কমিটি? ভারতীয় ক্রিকেটে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
অবশ্য এই ইস্যু নিয়ে এখন দ্বিধাবিভক্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। কোহলির পক্ষে যেমন ভোট রয়েছে, ঠিক তেমনই আবার 'হিট ম্যান'-এর হয়েও সওয়াল করছেন বেশ কিছু কর্তা। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই জন্য অন্য দলগুলোর মতো ভারতীয় দলের ক্যালেন্ডারে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা বেশি। এখনও পর্যন্ত পুরনো সূচি অনুসারে আগামী সাত মাসে মাত্র নয়টি একদিনের ম্যাচ খেলবে 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেড। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডে গিয়ে তিনটি করে একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের মাটিতে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন: INDvsNZ:ওপেন করতে পারেন Cheteshwar Pujara! কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ?
তাই কিছু কর্তারা এই কয়েকটা ম্যাচের জন্য অধিনায়কের বদল দেখতে রাজি নন। আবার অন্য মতও আছে। রোহিতের পক্ষে সওয়াল করা কর্তারা চাইছেন ঘরের মাঠে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে মুম্বইকরের হাতে এই মুহূর্তে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক। পুরনো সূচি অনুসারে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে যে কুইন্টন ডি কক-দের বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গে আয়োজিত হবে প্রথম টেস্ট। এছাড়া এই সফরে আরও দুটি টেস্ট ছাড়াও তিনটি একদিনের ম্যাচ ও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ভারতের। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে যে একাধিক ক্রিকেটার উঠবেন সেটা জানা কথা। তাই সবকিছু মাথায় রেখে ও কোহলির উপর চাপ কমাতে রোহিতের হাতে সীমিত ওভারের পুরো দায়িত্ব তুলে দিতে পারে বোর্ড।
এমন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বোর্ড সভাপতি মহারাজ ও সচিব জয় শাহ যে কোহলির সঙ্গে আলোচনা করবেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন কোহলি পরিস্থিতি বুঝে নিজে সরে দাঁড়াবেন না বোর্ড কড়া সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই দেখার। আগামী ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজিত হবে। সেখানেও কোহলির ভাগ্য নিয়ে জোর আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছর ২৮ মার্চ পুনের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার একদিনের ম্যাচে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সেটাই কি কোহলির শেষ ম্যাচ হয়ে গেল! উত্তর সময় দেবে।