ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রধানের উপর হামলা, বিমানবন্দরের বাইরে ভুগতে হল টিম ইন্ডিয়াকে
জগন মোহনকে হায়দরাবাদের ফ্লাইটে তুলে স্থানীয় প্রশাসন অন্যদের বিমানবন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা করে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। সেই দলের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াইএস রাজাশেখারার ছেলে জগন মোহন রেড্ডি বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরে ছুরিকাহত হন। সেলফি তোলার অছিলায় জগনের দিকে এগিয়ে আসেন এক যুবক। সে সময় তিনি বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে হেঁটে যাচ্ছিলেন। জগনের কাছে এসেই ওই কর্মী তাঁর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছুরির মতো অস্ত্র দিয়ে জগনের বাঁ কাঁধের নীচে বাহুতে আঘাত করেন তিনি। ওই ধরনের ছুরি সাধারণত মোরগ লড়াইয়ে ব্যবহার করা হয়। শ্রীনিবাস নামের সেই হামলাকারী যুবক বিমানবন্দরের ক্যান্টিনের কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন, 'শত্রু' আফ্রিদিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন গম্ভীর
প্রাথমিক চিকিত্সার পর অবশ্য সাধারণ বিমানেই হায়দরাবাদ উড়ে যান জগন। কিন্তু বিমানবন্দরের ভিতর এমন হামলায় প্রশাসনের রাতের ঘুম উড়েছে। কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও এমন অতর্কিত হামলা পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সেইসঙ্গে, বিশাখাপত্তনম বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জগনের উপর এমন হামলার জেরে কিন্তু ভুগতে হয়েছে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল বিশাখাপত্তনমে। ম্যাচের পরদিন ভারতীয় দলের সদস্যরা দুটো বাসে চেপে পুণে যাওয়ার উদ্দেশে হাজির হন বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরে। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ পুণেতে। কিন্তু বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরের বাইরে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বিরাট কোহলিদের। কারণ ততক্ষণে জগন মোহনের উপর হামলা হয়ে গিয়েছে। ফলে বিমানবন্দরে সেই সময় কারও প্রবেশ বা বেরনোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- পেশাদারিত্ব কাকে বলে, বুঝিয়ে গেলেন আম্পায়ার আলিম দার
জগন মোহনকে হায়দরাবাদের ফ্লাইটে তুলে স্থানীয় প্রশাসন অন্যদের বিমানবন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা করে। ফলে প্রায় দুই ঘন্টা পর কোহলিরা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারেন। এই দুই ঘন্টা ভারতীয় দলের সদস্যদের টিম বাসে বসেই কাটাতে হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতীয় দল পুণের উদ্দেশে রওনা হয়।