করোনা? বমি করতে করতে রাজগঞ্জে মৃত্যু ১৩টি শকুনের! ছড়াল তুমুল আতঙ্ক
"শকুনগুলির কাছে গিয়ে দেখতে পাই সেগুলি বমি করছে এবং একে একে ১৩টি শকুনের মৃত্যু হয়।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : বমি করতে করতে ১৩টি শকুনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল রাজগঞ্জে। একেই করোনা আবহ। তার উপর একের পর ১৩টি শকুনের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজগঞ্জে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে পরই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
জানা গিয়েছ, রাজগঞ্জের করোতোয়া নদীর ধারে গত কয়েকদিন ধরে একটি শূকরের দেহ পড়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই ওই দেহের পাশে ভিড় করে প্রচুর শকুন। নদীতে স্নান করতে এসে এলাকাবাসীরা দেখতে পান শকুনগুলি শূকরের দেহ খুবলে খাচ্ছে। এরপর বেলা গড়াতেই বেশ কিছু শকুনকে উড়তে গিয়ে পড়ে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। হরেকৃষ্ণ বালা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, "শকুনগুলির কাছে গিয়ে দেখতে পাই সেগুলি বমি করছে এবং একে একে ১৩টি শকুনের মৃত্যু হয়।"
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই একসঙ্গে এতগুলি শকুনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফরের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, শকুনের দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকা জঙ্গল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। শূকরের দেহ শিয়াল, কুকুরেও খেয়েছে। কিন্ত তাদের কোনও দেহ পাওয়া যায়নি। তাই শূকরের দেহ খেয়েই যে শকুনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ কী।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। মনে করা হচ্ছে চিনে বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিনের মাংস থেকেই মানব শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এরইমধ্যে সামনে এসেছে নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে করোনার সংক্রমণের খবর। এবার যদি শকুনের মৃত্যুর সঙ্গে করোনার সংক্রমণের যোগ পাওয়া যায়, তবে আতঙ্ক যে চতুর্গুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। মানুষের থেকে পশুপাখির দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ালে তা ভয়াবহ আকার নেবে। একথা ভেবেই আতঙ্কে শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, মাস্ক ছাড়া এলে রেশন, বাজার, মুদিসদাই, ওষুধ, পেট্রল কিচ্ছু দেওয়া হবে না!