Student Death: ভাড়া বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত দেহ! জঙ্গিপুরে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু
জঙ্গিপুর বয়েজ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণি ছাত্র ছিল সে। জঙ্গিপুরে মা ও দিদির সঙ্গে থাকত ভাড়া বাড়িতে। খুন না আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিস। তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
সোমা মাইতি: খুন নাকি আত্মহত্যা? বাড়ির ছাদেই পাওয়া গেল রক্তাক্ত দেহ! কীভাবে মৃত্যু হল মেধাবী ছাত্রের? হতবাক পরিবারের লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সইদ আফ্রিদি। বাড়ি, রঘুনাথগঞ্জের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিবাগান এলাকায়। জঙ্গিপুর বয়েজ স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল আফ্রিদি। বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। পড়াশোনার সুবিধার জন্য ছেলেকে শহরে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়েকেও। জঙ্গিপুরের গাড়ি-ঘাটার কাছে ভাড়াবাড়িতে মা ও দিদির সঙ্গে থাকত আফ্রিদি। মাত্র ৭ দিন আগে ওই বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, ঘড়িতে তখন ১১টা বেজে ৩০ মিনিট। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর পড়াশোনা করবে বলে পাশের ঘরে চলে যায় আফ্রিদি। কিন্তু সকালে ঘরে ছিল না সে! কোথায় গেল? খোঁজাখুঁজি শুরু করেন দিদি ও মা। এরপর বাড়ি ছাদে আফ্রিদির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জঙ্গিপুরের এসডিপিও ও জঙ্গিপুর থানা আইসি। স্রেফ নমুনা সংগ্রহ নয়, ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি করেন তদন্তকারীরা। তোলা হয় স্টিল ফটোও।
এদিকে কয়েক মাস আগে বহরমপুর ছাত্রী খুনে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিস। মূল অভিযুক্ত এখন পুলিসের হেফাজতে। চারশো পাতার চার্জশিট জমা পড়েছে বহরমপুর সিজেএম আদালতে। নিহত ছাত্রীর নাম সুতপা চৌধুরি। বাড়ি, মালদহের ইংরেজবাজার এলাকায়। বহরমপুর গার্লস কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। থাকতেন বহরমপুরের ক্যাতায়নী এলাকার একটি মেসে। অভিযোগ, ঘড়িতে তখন ৬টা। চলতি বছরের ৩ মে, মঙ্গলবার ভরসন্ধেয় বেলা সুতপাকে মেসে বাইরে ডেনে আনে প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। এরপর প্রথমে গুলি, তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারতে থাকে সে! হাসপাতালে মারা যান সুতপা। সেদিন রাতেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: নেই তথ্যপ্রমাণ, বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত!
কেন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড? তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক ধরে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুতপার। কিন্তু গত এক বছর ধরে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। প্রেমিককে এড়িয়ে যেতেন সুতপা। এমনকী, সুশান্তকে 'অপছন্দ' বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন! ঘটনার আগে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় একটি মেসে ছিল সুশান্ত। ছাত্র পরিচয়ে ৩ মাস থাকার জন্য ঘর ভাড়া নিয়েছিল সে।