Raiganj Minor Rape: গ্রেফতার অভিযুক্ত, নির্যাতিতার বাড়িতে BJP-র প্রতিনিধিদল
আদালতে গোপন জবানবন্দি নির্যাতিতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসখালিকাণ্ডে যখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, তখন রায়গঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল জেলা আদালত। নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন ৪ বিধায়ক-সহ বিজেপির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। পরিবারের লোকেদের দাবি, সেদিন বিকেলে ওই নাবালিকাকে দোকান থেকে বিস্কুট আনতে বলে প্রতিবেশী যুবক মোজাফ্ফর আলি। এরপর যখন বিস্কুট নিয়ে বাড়ির সামনে যায়, তখন ওই নাবালিকাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে যায় সে। এবং ফাঁকা বাড়িতে ধর্ষণ করে! শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Jhalda Councilor Murder: দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ, হোটেল মালিককে আটক করল CBI
এদিকে ততক্ষণে বাড়িতে চলে এসেছেন অভিযুক্তের ঠাকুমা। দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দু'জনকেই বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, গ্রামে লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই চম্পট দেয় মোজাফ্ফর। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তদন্তে নামে পুলিস।
আরও পড়ুন: Burdwan Accident: মোবাইলে ব্যস্ত চালক! নয়ানজুলিতে পড়ল যাত্রীবাহী বাস
এদিন সকালে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মোজাফ্ফর আলিকে। ধৃতকে তোলা হয় রায়গঞ্জ জেলা আদালতে। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছে, বয়স নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আদালতে সঠিক প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি অভিযুক্ত। সেকারণেই তাকে প্রাপ্তবয়ষ্ক বলে গণ্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। রেকর্ড করা হয়েছে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও। দুপুরে রায়গঞ্জে নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায়রা। পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। এরপর উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপারের সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তবে, পুলিস সুপার নয়, তাঁদের সাক্ষাৎ করেন ডিএসপি।