পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে পুকুর চুরির অভিযোগ, তদন্তে বিডিও
কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একদম উল্টো । প্রায় ১ লক্ষ্ টাকর বেশি খরচ করে সলিমুদ্দিনের ৩১ শতক জমিতে পুকুর কাঁটার যে তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে , বাস্তবে সেই জমিতে কিছুটা অংশে বাঁশের ঝাড় আর বাকি অংশে ধানের বীজ পোঁতা আছে ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় প্রবাদবাক্য আছে “পুকুর চুরি"। সেটাই বাস্তবে দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি ব্লকে। এই ব্লকের আলতাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ুয়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজের টাকায় ওই এলাকার বাসিন্দা সলিমুদ্দিনের জমিতে একটি পুকুর খোঁড়া হয়েছে। এমনই তথ্য দেওয়া রয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে ।
কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একদম উল্টো । প্রায় ১ লক্ষ্ টাকর বেশি খরচ করে সলিমুদ্দিনের ৩১ শতক জমিতে পুকুর কাঁটার যে তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে , বাস্তবে সেই জমিতে কিছুটা অংশে বাঁশের ঝাড় আর বাকি অংশে ধানের বীজ পোঁতা আছে । আর কিছুটা জমি ফাঁকা পড়ে আছে ।
আরও পড়ুন: সব পরীক্ষা দিতে পারলে আরও ভাল হতো, একটাই আফশোস উচ্চমাধ্যমিকের কৃতীদের
জমির মালিক সলিমুদ্দিন জানান , “ ২ বছর আগে পঞ্চায়েত প্রধান সুফিয়া খাতুনের স্বামী জিয়াবুল আলি আমার জমিতে পুকুর কেটে দেওয়ার জন্য জমির খতিয়ান এর কপি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পুকুর আজও হয়নি। অনেকবার প্রধানের কাছে আবেদন করেছি পুকুর কাঁটার জন্য । কিন্তু কোন কাজ হয় নি । “ ১০০ দিনের কাজের টাকা শ্রমিক পেয়েছেন কিনা তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে ।
সরকারি ওয়েবসাইটে দেখানো পুকুর চুরি করল কে ? সেই উত্তর পেতে যোগাযোগ করা হয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে । কিন্তু কোনও উত্তর না দিয়ে চুপ করে ছিলেন প্রধান সুফিয়া খাতুন । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সুফিয়াকে সামনে রেখে সব কলকাঠি নাড়েন তার স্বামী জিয়াবুল আলি । ফলে সুফিয়া খাতুনের চুপ করে বসে থাকা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই । সরকারি ওয়েবসাইটে দেখানো আছে পুকুর ।
কোথায় গেল পুকুর ? যোগাযোগ করা হয় বিডিও বিজয় মুক্তানের সঙ্গে । তিনি জানিয়েছেন , “ আলতাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে পুকুর কাঁটা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করছি । তদন্তের রিপোর্ট হাতে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাঁর বিরুদ্ধ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।“ ইতিমধ্যেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর করণদিঘি ব্লকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।