বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে প্রতিবাদ, বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের সংস্কৃত বিভাগে নিয়োগ পেলেন মুসলিম অধ্যাপক
সংস্কৃতের অধ্যাপক হিসেবে ফিরোজ খানের নিয়োগের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংস্কৃত বিভাগে এক মুসলিম অধ্যাপকের নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তাঁকে শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে ছাত্রদের একাংশ। এরকম এক অবস্থায় এক মুসলিম অধ্যাপককে নিয়োগ করল বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির। সেখানে সংস্কৃতের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপত্র পেলেন রমজান আলি।
আরও পড়ুন-রেশনকার্ড-আধার সংযোগ, নয়া ই-পস ব্যবস্থা মানতে নারাজ রাজ্যের ডিলাররা
এরাজ্যে বিষয়টি খুব বেশি আশ্চর্যের না হলেও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালে তা এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনিয়ে অধ্যাপক রমজান আলি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ভারতের সংস্কৃতি প্রতিফলন ঘটে সংস্কৃত ভাষায়। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু এই দেশটা অনেক বড়। তাই এই ধরনের ঘটনা গোটা দেশের কথা তুলে ধরে না।
West Bengal: Ramakrishna Mission Vidyamandira at Belur Math in Howrah has appointed Ramzan Ali as Sanskrit professor. Ali says, "Sanskrit reflects India's culture. BHU incident is an exception, but our country is huge. So, such incidents don't speak for the whole country." pic.twitter.com/vhenMSUDei
— ANI (@ANI) November 23, 2019
উল্লেখ্য, সংস্কৃতের অধ্যাপক হিসেবে ফিরোজ খানের নিয়োগের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের পড়ুয়াদের একাংশ। গত দুসপ্তাহ ধরে পড়ুয়াদের দাবি অধ্যাপক হিসেবে ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। পরিবর্তে অন্য কাউকে নিয়োগ করতে হবে। তা না হলে বিক্ষোভ থামবে না। বুধবার তারা বসেছিলেন উপাচার্য রাকেশ ভাটনগরের ঘরের সামনে। সেখানে তাঁরা যজ্ঞ শুরু করেন।
আরও পড়ুন-পরীক্ষার ফল খারাপে অবসাদ, রানিকুঠির পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী
প্রতিবাদী পড়ুয়ারা সংবাদমাদ্যমে জানিয়েছেন, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের একজনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথা ভেঙে এই নিয়োগ করা হচ্ছে তাই প্রতিবাদ। যেখানে ওই অধ্যাপককে নিয়োগ করা হচ্ছে সেটি সাধারণ কোনও বিভাগ নয়, সেটি হল সংস্কৃত বিদ্যা-ধর্ম-বিধান-শঙ্খ বিভাগ। সেখানে শুধু ভাষা সাহিত্য নয় পড়ানো হয় আমাদের সংস্কৃতি। তাই কোনও মুসলিম অধ্যাপক নিয়োগ করা যাবে না।