Tarkeshwar: ছেলে-বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ! তারকেশ্বরে থানার সামনে ধরনা বৃদ্ধ দম্পতির
নিজের বাড়ি ছেড়ে এখন মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ইসমাইল শেখ ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলে ও বউমাও।
![Tarkeshwar: ছেলে-বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ! তারকেশ্বরে থানার সামনে ধরনা বৃদ্ধ দম্পতির Tarkeshwar: ছেলে-বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ! তারকেশ্বরে থানার সামনে ধরনা বৃদ্ধ দম্পতির](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/01/387957-kerag.png)
নির্মল পাত্র: ছেলের বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ? নিজের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মেয়ের বাড়িতে। সুবিচারের দাবিতে এবার থানার সামনে ধরনায় বসলেন বৃদ্ধ দম্পতি। তাঁদের বিরুদ্ধে আবার থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলেন ছেলে ও বউমাও। দু'পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির তারকেশ্বরে।
জানা গিয়েছে, তারকেশ্বরের বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল শেখ ও তাঁর স্ত্রী তাসলিমা বিবি। ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। দু'জনেই বিবাহিত। ছেলে ইকরাম ভিনরাজ্যে সোনার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। এক বছর আগে ফিরে আসেন বাড়িতে। এখন সব্জির ব্যবসা করেন তিনি। নিজের বাড়িতে ছেলে, বউমা ও নাতনি-নাতনিদের সঙ্গে থাকতেন ইসলাইল ও তাঁর স্ত্রী।
মেয়ের বাড়িতে কেন চলে গেলেন? অভিযোগ, বাড়িটি লিখে দেওয়ার জন্য় বাবা-মার উপর চাপ দিচ্ছেন ইকরাম ও তাঁর স্ত্রী রমিসা বিবি। এমনকী, গত ৬ মাস ঘরে ওই বৃদ্ধ দম্পতির উপর রীতিমতো মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলছে! কেন এমন আচরণ? তারকেশ্বর থানার একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইসমাইল ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি! সেকারণেই থানার সামনে ধরনায় বসেছেন ওই দম্পতি। শ্বশুর-শাশুড়ির উপর অত্য়াচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রমিসা বিবি। তাঁর পাল্টা দাবি, ছেলে ও বউমাকে নাকি মারধর করেন ইসলাম তাসলিমা। এমনকী, তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Elephant Killed Man: গোরু খুঁজতে গিয়ে হাতির মুখে পড়লেন বৃদ্ধা, তুলে আছাড় মারল হাতি
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে সবংয়ে এক বধূকে আবার আদালতে হাজিরার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কেন? অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যু পর যখন চাকরি পান, তখন শ্বাশুড়িকে দেখভাল করার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু কথা রাখেননি। মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। সবংয়ের বাসিন্দা ছিলেন ব্রজদুলাল মণ্ডল। প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রয়াত হন ব্রজদুলাল। স্বামীর মৃত্যু পর চাকরি পান কৃষ্ণা মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূ। তখন খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে হলফনামা দিয়েছিলেন, ব্রজদুলালের পরিবার অর্থাৎ তাঁর বৃদ্ধা মার দেখভাল করবেন। কিন্ত দায়িত্ব নেওয়া দূর অস্ত, চাকরি পাওয়ার কৃষ্ণা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান বলে অভিযোগ। এর আগে, ২০১৭ সালে বউমার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্রজদুলালের মা দুর্গাবালা মণ্ডল। তখন বেতনের একটি অংশ শ্বাশুড়িকে দেওয়ার জন্য বউমাকে নির্দেশ দিয়েছিলে আদালত।