Anubrata Mandal: হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত, কড়া পদক্ষেপের পথে সিবিআই
অনুব্রত মন্ডলকে দেখতে যে চিকিৎসক গিয়েছিলেন তিনি জানিয়েছে যে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি সুপারের নির্দেশে। একই সঙ্গে তাঁকে বেডরেস্টের জন্য লিখতে বাধ্য করেন অনুব্রত নিজেই। যদিও হাসপাতাল করত্রিপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরফলে এই বিষয় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কে এই টিম পাথিয়েছিলেন এবং কেন সেই সংক্রান্ত প্রশ্নও উঠছে।
![Anubrata Mandal: হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত, কড়া পদক্ষেপের পথে সিবিআই Anubrata Mandal: হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত, কড়া পদক্ষেপের পথে সিবিআই](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/10/384950-anubrata-new.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার ফের হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মন্ডল। নিজাম প্যালেসে গিয়ে এই কথা জানিয়ে আসেন অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবিরা। মঙ্গলবার থেকেই জোড়ালো হচ্ছিল এই সম্ভাবনা। মনে করা হচ্ছিল সিবিআই-এর দশম নোটিশ এড়িয়ে জেতে পারেন তিনি। অসুস্থ থাকায় সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেই জানানো হয়েছে তাঁর আইনজীবিদের তরফে। গত তিন দিনে অনেক বেশি সফর করার কারনে বিধ্বস্ত রয়েছেন অনুব্রত এবং আরও বলা হয়েছে সিবিআই-এর দশম নোটিশ পেয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এরপরেই জানা গিয়েছে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে সিবিআই। আরও জানা গিয়েছে আইনি পদ্ধতিতেই এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে তাঁরা।
ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর একটি দল রওনা দিয়েছে নিজাম প্যালেস থেকে। তাঁরা দ্বিতিয় হুগলি সেতু পেরিয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও তাদের গন্তব্য সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। সম্ভাবনা রয়েছে যে তাঁরা আসানসোল আদালতে গিয়ে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। অন্যদিকে সরাসরি অনুব্রত মন্ডলের বোলপুরের বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে টিমের। সেখানে গিয়ে অনুব্রত মন্ডলের নতুন করে স্বাস্থ পরিক্ষা করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বোলপুরের যে চিকিৎসক দল গতকাল অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের সঙ্গেও কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে এই দলের।
আরও পড়ুন: Weather Report: শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে
অন্যদিকে অনুব্রত মন্ডলকে দেখতে যে চিকিৎসক গিয়েছিলেন তিনি জানিয়েছে যে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি সুপারের নির্দেশে। একই সঙ্গে তাঁকে বেডরেস্টের জন্য লিখতে বাধ্য করেন অনুব্রত নিজেই। যদিও হাসপাতাল করত্রিপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরফলে এই বিষয় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কে এই টিম পাথিয়েছিলেন এবং কেন সেই সংক্রান্ত প্রশ্নও উঠছে।
সোমবার সিবিআই হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও কলকাতায় এসে এসএসকেএম হাসপাতালে ঘুরে সোজা বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এরপর পর ফের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই নোটিস পাঠায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। এনিয়ে দশম নোটিস যায় অনুব্রতর কাছে। যদিও ওই নোটিসে বলা হয় যে, বুধবার সকাল এগারোটায় অনুব্রতকে হাজিরা দিতে হবে নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে।