তিহাড়ে কেমন আছেন কেষ্ট? নিজেই জানালেন সেকথা...
তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে স্থানান্তরিত করার জন্যও রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিহাড় জেলের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
জ্যোতির্ময় কর্মকার: ভালো নেই তিনি। আদালতের পথে সাংবাদিকদের জানালেন অনুব্রত। ২ সপ্তাহের জেল হেফাজত শেষে আজ রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডল ও মণীশ কোঠারিকে। শুনানি শেষে রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট ফের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল অনুব্রত মণ্ডল এবং মনীশ কোঠারিকে। ১৫ এপ্রিল ফের পেশ করা হবে অনুব্রতকে।
এদিন আদালতে ঢোকার সময় অনুব্রত মণ্ডল নিজেই উপস্থিত সাংবাদিকদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, কেমন আছ? তারপরই সাংবাদিকদের পালটা প্রশ্নে কেষ্ট জানান, তিনি ভালো নেই। বুকে ব্যথা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের। সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে স্থানান্তরিত করার জন্যও রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। গত ২১ মার্চ অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যায় পুলিস। তাঁকে ১৩ দিন সেখানে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু স্বাভাবিকবাবেই তিহাড়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছে অনুব্রতর। প্রথম দিনই ওষুধ ও খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়েন তৃমূল নেতা। প্রেসক্রিপশন দেওয়া হলেও, তাঁর পরিচিত ব্র্যান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এই নিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও ব্র্যান্ড আলাদা হাওয়ায় তিনি সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না।
তিহাড় জেলের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবী তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে অনুব্রতকে বদলি করার জন্য রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে করা আবেদনে অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেছেন, আইনে বলা হয়েছে, যে জায়গা থেকে কোনও অভিযুক্তকে হেফজতে নেওয়া হবে এবং তাঁকে যদি অন্য রাজ্যে রিমান্ডে নিয়ে য়াওয়া হয়, তাহলে সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে তাঁর আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
এদিকে দিল্লি হাইকোর্টে নামঞ্জুর হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর জামিনের আবেদন। ফলে মেলেনি জামিনও। আপাতত তাই তিহাড়েই থাকতে হচ্ছে কেষ্টকে। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর জামিন মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। ফলে রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট স্থানান্তরিতকরণে অনুমতি না দিলে জামিনের অপেক্ষায় আরও ৪ মাস তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন, রাজু খুনের রহস্য লুকিয়ে ২ ব্যাগে? লতিফকে নিয়ে সামনে এল নয়া তথ্য