সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: পাকা বাড়ি, ওষুধের দোকানের মালিক, আশা কর্মীর বিত্তবান স্বামীর আবাস যোজনার তালিকায় নাম  থাকাকে কেন্দ্র করে  বিতর্ক উঠেছে গ্রামে। কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের পালিটা গ্রামের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আবাস যোজনার তালিকার সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা আশাকর্মী  রাসমণি পাল নিজের স্বামীর নাম তালিকা থেকে বাদ কেন দিল না এই নিয়ে বাসিন্দারা  লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় বিডিওর দফতরে। যদিও কেতুগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল বলেন, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব পাকা বাড়ি, দশ হাজার টাকা মাসিক আয় থাকলে আবাস যোজনার ঘরের তালিকা থেকে সেই সব নাম বাদ যাবে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আবাস যোজনার তালিকার উঠেছে কিনা সেই বিষয়ে গ্রামে গ্রামে সমীক্ষা করছে স্থানীয় আশা কর্মী বা অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা। কিন্তু কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামে সমীক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে গ্রামবাসীরা।


সরকারি  নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে পাকা বাড়ি থাকলে এবং বিত্তবান হলে সেই পরিবার আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য নয়। অথচ পালিটা গ্রামের বাসিন্দা শরৎচন্দ্র পাল পাকা বাড়ির মালিক এবং ওষুধের ব্যবসায়ী হয়েও আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় তাঁর নাম উঠেছে। কারণ তার আশা কর্মী স্ত্রী রাসমণি পাল সেই গ্রামের আবাস যোজনার তালিকার সমীক্ষক।


আরও পড়ুন: Basanti: আবাস যোজনার তালিকায় একধিক পঞ্চায়েত সদস্যদের নাম! তালিকা বাতিলের আশ্বাস বিধায়কের


আশাকর্মীর স্বামীর পাকা বাড়ি এবং দোকান থাকতেও তার নাম থাকবে অথচ  যাদের মাটির বাড়ি, খড়ের চাল তাদের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে তালিকা থেকে অভিযুক্ত আশাকর্মী বাদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত আশাকর্মী রাসমণি পাল বলেন, যা করেছি নিয়ম মেনে করেছি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর নিজস্ব কোনও বাড়ি নেই। যে পাকা বাড়িতে আমরা বাস করি সেটার মালিক আমার শ্বশুর’। তারা ঘর পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেছে আশাকর্মীর স্বামী শরৎ চন্দ্র পাল। তিনি বলেন অনেক ইঁটভাটার মালিক, দলের নেতার নাম তালিকায় আছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তিনিও বিডিওকে সব বলে দেবেন।


আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: রাতারাতি শীতের আমেজ কলকাতায়, একদিনে তাপমাত্রা কমল ৬ ডিগ্রি


গ্রামবাসীদের অভিযোগ আশাকর্মী নিজেই আবাস যোজনার  তালিকার সমীক্ষা করছে। সেই জন্য স্বামীর পাকা বাড়ি,দোকান থাকতেও তার নাম আবাস  যোজনার তালিকায় নাম রেখে দিয়েছে। এদিকে গ্রামের অনেকের কাঁচা মাটির বাড়ি, খড়ের চাল তাদের নাম অভিযুক্ত আশাকর্মী বাদ দিয়েছে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। সমীক্ষায় যাদের নাম বাদ পড়েছে তারা ফের বিডিও দফতরে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিচ্ছেন। কেতুগ্রাম ১ ব্লকের  বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)