নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা নির্বাচনে হার হয়েছে দলের। এলাকায় সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই। তার উপরে এই করোনা। এমন পরিস্থিতিতে দল ছাড়লেন কেতুগ্রামের প্রায় দেড়শো বিজেপি কর্মী-সমর্থক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ছাগল মরেছে Yaas-র আতঙ্কে, ক্ষতিপূরণের দাবি দুয়ারে ত্রাণ শিবিরে


মঙ্গলবার দুপুরে কেতুগ্রামের(Ketugram) কান্দারা স্টেশনরোডের তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সেখ শাহনাওয়াজের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা তুলে নেন ওইসব বিজেপি কর্মীরা। এদিন যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কান্দরা অঞ্চলের বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক পিন্টু দাস, দলের আইটি সেলের মণ্ডল পরিচালক বীর প্রধান ও বেশ কয়েকজন বুথ সভাপতি।


ওইসব বিজেপি নেতা কর্মীদের দাবি, দলের হারের পর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) কাছে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলাম। দল কোনও নেতা কর্মীর খোজ করেননি। বীর প্রধান জানান, রাজ্য সভাপতি আমাদের ইঙ্গিত দেন তোমরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দাও। পাশাপাশি, কান্দরা অঞ্চলের মণ্ডল সভাপতি পিন্টু দাস জানান, করোনাকালে আমাদের পাশে কেউ নেই। তাই দল ছেড়ে দিলাম।


এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কেতুগ্রামের বিধায়ক সেখ শাহনাওয়াজ বলেন, ওরা ভালো ছেলে আমাদের সঙ্গে আসতে চাইল তাই দলে স্বাগত জানালাম। রাজুর আঞ্চলেরও অনেক বিজেপি নেতা- কর্মী তৃণমূলে যোগ দেবেন।


আরও পড়ুন-করোনা আবহে বাতিল পরীক্ষা, দিনহাটায় আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী  
 
কাটোয়ার বিজেপি-র সহ সভাপতি অনিল জানা বলেন, আসলে ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে যে সন্ত্রাস হয়েছে, বিশেষকরে গ্রামাঞ্চলে তা নজিরবিহীন। তৃণমূলে যোগ না দিলে বিজেপি কর্মীরা তাদের রুটিরুজি বাঁচাতে পারবে না। তাই স্থানীয়স্তরে কেউ কেউ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। ওদের পাশে আমরা সবসময় রয়েছি। তার পরেও কেউ নিরাপত্তার অভাব বোধ করার তৃণমূলে যাচ্ছেন।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)