পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে TMC-BJP সংঘর্ষ, কেতুগ্রামে কুপিয়ে খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে
বিজেপি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরে খুন। আমাদের উপর মিথ্যা দোষারোপ করছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের ফল প্রকাশ হতেই একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যজুড়ে। অধিকাংশ জায়গায় হামলার নিশানায় বিরোধীরা। এবার বর্ধমানের কেতুগ্রামে খুন হলেন এক তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার সন্ধের ঘটনা।
আরও পড়ুন-ভোট মিটতেই বাড়ল Petrol-Diesel-র দাম, কলকাতায় কত?
পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। এনিয়ে কেতুগ্রাম(Ketugram) থানার আগরডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালগ্রামে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। অভিযোগ লাঠি, রামদা নিয়ে বিজেপি সমর্থকরা চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকদের উপরে। এর মধ্যেই আগরডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীনিবাস ঘোষকে মাটিতে ফেলে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। মৃত ব্যক্তিকে তুলে পোস্টমর্টেমের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের ভর্তি করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে(Bardhaman Medical College) নিয়ে য়াওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাটোয়া থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-ঘূর্ণাবর্তের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া
এই খুনের ঘটনা নিয়ে কেতুগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিতুল মিঞা বলেন, রাতের অন্ধকারে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে বাড়ি থেকে তুলে এনে খুন করা হয়েছে। ওই গ্রামের একটি বুথে বিজেপি জিতেছে। তার পর থেকেই হামলা শুরু করেছে বিজেপি সমর্থক ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরে খুন। আমাদের উপর মিথ্যা দোষারোপ করছে। আমাদের কর্মীদের ঘরছাড়া করা হয়েছে।