নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করা, তারপর সেই সেই ভুয়ো আধার কার্ডের ভিত্তিতে তোলা সিম কার্ড দিয়েই জালিয়াতি চক্র ফেঁদেছিল বাঁকুড়ার ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কান্ডের মাস্টারমাইন্ড অভিষেক মন্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভুয়ো আধার কার্ড দিয়ে সিম কার্ড আক্টিভেশানের জন্য অভিষেকের এই চক্রে হাত মিলিয়েছিল বিভিন্ন বেসসরকারি মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সিম কার্ড ডিলারদের একাংশ। তাদের মাধ্যমেই হাজার হাজার সিম কার্ড পৌঁছে যেত মাস্টারমাইন্ড অভিষেকের কাছে। ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কান্ডের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এদিকে এই জালিয়াতিকাণ্ডের আরো বিশদে তথ্য জানতে কলকাতা পুলিসের সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়েছে বাঁকুড়া জেলা পুলিস।


আরও পড়ুন-Mangalkot TMC Murder: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের মামলা,  CID-র হাতে 'মাস্টারমাইন্ড'


দিন তিনেক আগে বাঁকুড়ায় ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কান্ডের ঘটনা সামনে আসে। জানা যায় ভুয়ো নথির সাহায্যে আক্টিভেট করা হাজার হাজার সিম দিয়ে ই-ওয়ালেট তৈরি করে দেশের তাবড় প্রতারক গোষ্ঠীকে সরবরাহ করত বাঁকুড়ার ধোবারগ্রামের বাসিন্দা অভিষেক মন্ডল। কিন্তু কোথা থেকে এত সংখ্যক সিম কার্ড আসত অভিষেকের কাছে? এনিয়ে তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সূত্র হাতে আসতে শুরু করে তদন্তকারীদের কাছে।


তদন্তে উঠে এসেছে, জয়পুর থানার রাউৎখন্ড গ্রামে বসে ফটোশপের মাধ্যমে একের পর এক নকল আধার কার্ড তৈরি করত দীপক গুই নামের এক যুবক। আধার কার্ডে যে ছবি ব্যবহার করা হত তা সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব দেওয়া ছিল বাঁকুড়ার ওন্দা থানার সানতোড় গ্রামের বাসিন্দা রাজারাম বিশ্বাস। এই রাজারাম বিশ্বাস এলাকার পরিচিত ও অপরিচিত ব্যাক্তিদের বিভিন্ন অছিলায় ছবি তুলে হোয়াটস আপের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দিত দীপক গুইয়ের কাছে। দীপক গুই নিজের ফটোশপে ইচ্ছে মতো নাম ঠিকানা দিয়ে নকল আধার কার্ডের সফট কপি তৈরি করে পুনরায় তা পাঠিয়ে দিত রাজারাম বিশ্বাসের কাছে।


আরও পড়ুন-Bankura: E-Wallet প্রতারণাকাণ্ডে নয়া মোড়, হদিশ মিলল আধার ও ভোটার কার্ড তৈরির কারখানার


পেশায় সিম কার্ডের ডিলার রাজারাম বিশ্বস সেই নকল আধার কার্ডের ভিত্তিতে একের পর এক সিম কার্ড আক্টিভেট করত। পরে সেই আক্টিভেটেড সিম কার্ড সরাসরি চলে যেত গোটা চক্রের মাস্টারমাইন্ড অভিষেক মন্ডলের কাছে । পরবর্তীতে সেই সিম কার্ডের ভিত্তিতে তৈরি করা ই-ওয়ালেট বিক্রি করা হত প্রতারকদের। ই-ওয়ালেট বিক্রির টাকা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অভিষেক পৌঁছে দিত নকল আধার কার্ড তৈরি ও তার ভিত্তিতে  সিম কার্ড আক্টিভেশানের কাজ করা দীপক গুই ও রাজারাম বিশ্বাসের কাছে । এই জালিয়াতির প্রতিটি পদক্ষেপে এতটাই গোপনীয়তা বজায় রাখা হত যে এই জালিয়াতি কান্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশী কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পেতেন না এতবড় জালিয়াতি চক্রে জড়িয়ে পড়েছে তাঁদের পরিবারের একজন। গোটা ঘটনা সামনে আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই অবাক সকলে । 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)