নিজস্ব প্রতিবেদন: জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম। সেই জঙ্গল থেকে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসে হাতির দল। ফি বছর হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিঘের পর বিঘে জমির ফসল। তাই কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী আরাধনার পাশাপাশি গজরাজও এখানে পুজিত হন। এখানে পেঁচা নয় গজে অবস্থান করেন দেবী লক্ষ্মী।স্থানীয় ভাষায় এই পুজোর নাম গজলক্ষ্মী পুজো। একশো তেইশ বছর ধরে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের রামকানালি গ্রামে পুজিতা হয়ে আসছেন এই গজ লক্ষ্মী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Midnapur: জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, গত ১৫ দিন গড়ে ৩৫ শিশু ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যালে 


বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের রামকানালি গ্রামে দুর্গাপুজোর চল নেই। এই গ্রামে মহা ধুমধামে পুজিতা হন দেবী লক্ষ্মী। তবে প্রতিমার দিক থেকেই হোক বা আচার অনুষ্ঠান, আর পাঁচটা লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে মেলেনা রামকানালি গ্রামের লক্ষ্মীপুজোর ধরণ ধারণ।


চারদিকে ঘন জঙ্গলে ঘেরা রামকানালি গ্রাম। এই গ্রামের মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ। আজ থেকে একশো বছর আগে এই গ্রামে যেমন হাতি উপদ্রুত ছিল আজও তাই। মাঝে মধ্যেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতির দল এসে পড়ে লোকালয়ে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয় বিস্তর। গজরাজদের এই হানা বাঁচিয়ে লক্ষ্মীলাভের আশায় তাই লক্ষ্মী পুজোর পাশাপাশি একই সঙ্গে গজরাজের আরাধনা করেন গ্রামের মানুষ।


আরও পড়ুন- Babul Supriyo:অবশেষে বিজেপির সঙ্গে ছিন্ন সব সম্পর্ক, সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল


একশো তেইশ বছর আগে চালু হওয়া লক্ষ্মী পুজোর সেই রীতি আজও অমলিন রামকানালি গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, গজরাজরা শান্ত থাকলে তবেই মাঠ থেকে ফসল ওঠে বাড়িতে।  লক্ষ্মীলাভ হয় গ্রামের মানুষের । তাই এমন গজলক্ষ্মী পুজোর আয়োজন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)