Babul Supriyo:অবশেষে বিজেপির সঙ্গে ছিন্ন সব সম্পর্ক, সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল
স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বাবুল বলেন যে তিনি আর আসানসোল কেন্দ্র থেকে ভোটে থেকে লড়বেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে মঙ্গলবার স্পিকারের দেখা পেলেন বাবুল সুপ্রিয়। স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সময় দেওয়া হলেও পরে সেই সময় বদলে হয় দুপুর ১২টা। বাবুল ১০.৩০ নাগাদ পৌঁছে যান এবং ১২টায় দেখা করেন স্পিকারের সঙ্গে। কিছুক্ষন স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
The formal resignation letter as per rules & a personal note of gratitude to Hon'ble Speaker Sir @ombirlakota pic.twitter.com/lviZyRi74f
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) October 19, 2021
স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বাবুল বলেন যে তিনি আর আসানসোল কেন্দ্র থেকে ভোটে থেকে লড়বেন না। তিনি আরও বলেন যে তিনি জানেন মঙ্গলবার আসানসোলে তার কুশপুতুল পুড়বে এবং তিনি কিছু ট্রোলের শিকার হবেন। কিন্তু তিনি কোনও ইতিহাস তৈরী করেননি বলে তিনি জানিয়েছেন। বিজেপিতে যাঁরা আছেন তাঁদের অনেকেই অন্য দল থেকে এসেছেন বলে মনে করিয়ে দেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারি সম্পর্কে তিনি বলেন যে শুভেন্দুর সঙ্গে ওনার ভালো সম্পর্ক এবং তাঁরা জন্মদিন শেয়ার করেন সেটাও জানান তিনি। কিন্তু এর পরেও তিনি বলেন যে তাঁকে জ্ঞান দেওয়ার আগে শুভেন্দুর মাথায় রাখা উচিত যে তিনি অন্য দলে গিয়েও সাংসদ পদ ধরে রাখেননি এবং ইস্তফা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারির বাবা শিশির অধিকারি এবং ভাইয়ের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন যে তাঁরা অন্য দলে গিয়েও নিজেদের পদ ধরে রেখেছেন। সেই সাংসদ পদ তাঁরা তৃণমূলে থাকাকালীন পেয়েছিলেন বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: Kolkata: হবু ডাক্তারদের আন্দোলনে বেহাল R G Kar হাসপাতাল, ফিরে যাচ্ছেন বহু রোগী
বাবুল জানিয়েছেন যে বাবা রামদেবের কথায় তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন এবং আবার হরিদ্বারে গিয়ে তিনি বাবা রামদেবের সঙ্গে দেখা করবেন। আসানসোলের সম্পর্কে তিনি বলেন যে তিন যে কাজই করুন এবং যেখানেই থাকুন, আসানসোল সবসময়ে তাঁর কাছে স্পেশাল জায়গা হয়ে থাকবে। তিনি বলেন যে কিছুটা নির্লজ্জের মতো তিনি সুযোগ পেলেই আসানসোলের জন্য কাজ করবেন।
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) October 19, 2021
গত অগাস্ট মাসে কেন্দ্রিয় মন্ত্রিপদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। এরপরেই কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা জানান তিনি। যদিও পরবর্তীকালে সেই সন্ন্যাস ভেঙে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এরপরেই তিনি জানিয়ে দেন যে পুরনো দলে থাকাকালীন সময়ে পাওয়া সাংসদপদ ধরে রাখা অনৈতিক। তিনি স্পিকারের কাছ থেকে বারবার সময় চাইলেও সুযোগ পাননি দেখা করার। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও এরই মাঝে দিল্লিতে নিজের বাসভবন খালি করে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার বিজেপি সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি।