নিজেস্ব প্রতিবেদন : গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের ছবি ধরা পড়ল ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়। পাহাড়ের খাঁজে গভীর জঙ্গলের মাঝেই ক্যাম্প তৈরি করে গোপনে চলত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সশস্ত্র বাহিনী জিএলপি-র প্রশিক্ষণ। উদ্দেশ শুধু গুরুংকে নিরাপত্তা দেওয়া নয়, পাহাড়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো। গোয়েন্দা রিপোর্টকে সঙ্গী করে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম সীমান্তে ছোট রঙ্গিত নদীর ধারে জিএলপি-র প্রশিক্ষণ শিবিরে হানা দেয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিস। শুরু হয় সংঘর্ষ। তীব্র গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন দার্জিলিং পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক। তাঁকে উদ্ধারে যখন ব্যস্ত পুলিসবাহিনী, তখন তার সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় বিমল গুরুং। শুক্রবারের অপারেশনে সেই ক্যাম্প তছনছ করে দিয়েছে পুলিশবাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরল অমিতাভ মালিকের দেহ, গার্ড অফ অনার পুলিসের


খবর মিলছিল কয়েকদিন ধরেই। টাকভরের ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছোট রঙ্গিতের চর। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে বিমল গুরুং। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে বিশেষ ধরনের সামগ্রী দিয়ে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে সেখানে। সেখানেই বিমল গুরুংয়ের তত্ত্বাবধানে চলত জিএলপি ট্রেনিং। পুলিসি অভিযানের প্রথম ধাপে উদ্ধার করা হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।


 



বৃহস্পতিবার রাতে পুলিসি অভিযানের খবর খুব অল্প সময়ের মধ্যে চলে যায় বিমল গুরুংয়ের কাছে। খবর যায় জিএলপি ট্রেনিং ক্যাম্পেও। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড় ও জঙ্গলের দুর্গম পথে জোরথাং হয়ে সিকিমে গা ঢাকা দেয় বিমল গুরুং ও জিএলপি সদস্যরা।  যাওয়ার পথে পুলিসের সঙ্গে গুলির লডাই বাঁধে তাদের। সেই লড়াইয়েই শুক্রবার ভোরে শহিদ হন অমিতাভ মালিক। দেখুন সেই ক্যাম্পের ছবি