নিজস্ব প্রতিবেদন:  অনলাইন এসএমএস হাজিরা পদ্ধতির পর এবার বাঁকুড়া জেলার ৫ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করল বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ । খুব শীঘ্রই জেলার ৩,৬৬৭ প্রাথমিক স্কুলে এই পদ্ধতি চালু হবে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ । পরবর্তীতে জেলার হাই স্কুলগুলিতেও এই একই পদ্ধতি চালুর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে গোপন মুহূর্তের ছবি, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ মালদহের ছাত্রী


বাঁকুড়া জেলায় ৩টি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল সহ মোট ৩,৬৬৭ টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে । এই স্কুলগুলিতে রয়েছেন প্রায় সাড়ে দশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক । এই স্কুলগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরা নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠে । শিক্ষকদের নিয়ম মতো স্কুলে না আসা , দেরি করে স্কুলে আসা এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্কুল থেকে চলে যাওয়ার মতো অভিযোগ মাঝে মধ্যেই জমা পড়ে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে ।


শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের এই খামখেয়ালিপনা রুখতে আগেই বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা এলাকার স্কুলগুলিতে অনলাইন এসএমএস পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা করে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন । কিন্তু তারপরও এক শ্রেনীর শিক্ষকদের বেনিয়ম বন্ধ করা যায়নি । এবার সেই বেনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ । জেলার প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকদের হাজিরা এবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে ।


প্রাথমিক ভাবে আজ বাঁকুড়া শহরের পাঁচটি বড় প্রাথমিক স্কুলে এই পদ্ধতি চালু করা হল । প্রতি মাসে এই বায়োমেট্রিক যন্ত্রে সংরক্ষিত শিক্ষকদের হাজিরার তথ্য স্কুলগুলিকে জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে । বেনিয়ম ধরা পড়লে সেক্ষেত্রে থাকছে কঠোর ব্যবস্থার নিদানও ।


আরও পড়ুন-দিল্লির ভোটের মুখে সংসদে রাম মন্দির ট্রাস্টের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর


এদিকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরার ব্যপারে ভুয়ো অভিযোগ তুলে তাঁদের হেনস্থা করেন অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষ । বায়োমেট্রিক হাজির পদ্ধতি চালু হওয়ায় এবার থেকে সেই অভিযোগ যথাযথ কিনা তা খতিয়ে দেখার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও জেলা প্রশাসন । প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা । তাঁদের দাবি এর ফলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরা নিয়ে আরো স্বচ্ছতা আসবে।