প্রসেনজিৎ মালাকার: বধূ নির্যাতনের মামলা প্রত্যাহার না করার জের! সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গৃহবধূর নগ্ন ছবি পোস্ট করার অভিযোগ উঠল তার গুণধর স্বামী বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে বার বার বোলপুর মহিলা থানার পুলিসকে অভিযোগ জানানো হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি, এখনও সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকায় গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের সামাজিক মর্যাদাহানি হয়েছে বলে অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে সিউড়ির সাইবার সেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিসের এই গাফিলতিতে ক্ষোভে ফুটছে ওই গৃহবধূর পরিবার। তাঁর অভিযোগ, সামাজিক লজ্জায় তিনি আত্মহত্যার হুমকি দিলে পুলিস নামমাত্র অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে। তবে অভিযুক্ত এখনও অধরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিগৃহীতার বাড়ি বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লকের সিয়ান মূলক পঞ্চায়েতের তাতালপুর কলোনি। স্থানীয় ও  পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ বছর আগে ‌নানুর থানার খুজুটিপাড়া পঞ্চায়েতের গড়পাড়ায় বিক্রম ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি পাঁচশোয়া বিদ্যুৎ অফিসের অস্থায়ী কর্মী। বর্তমানে দম্পতির ৪ বছরের একটি ছেলে ও ২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ‌কিন্তু বিয়ের পর অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। 


এখন ‌সুসম্পর্ক থাকাকালীন বিক্রম ওই গৃহবধূর বেশ কিছু নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন। এরপর পণ না মেটালে‌ বিক্রম সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন। অবশেষে গত ৭ অক্টোবর বোলপুরের মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। ‌নগ্ন ছবির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে থানার আধিকারিক তাকে সিউড়ি সাইবার সেলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।‌ এর ভিত্তিতে তার পরদিন তিনি সিউড়ির সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই বিষয়টি জানতে পেরে বিক্রম সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই গৃহবধূর নামে একটি প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে নগ্ন ছবিগুলি পোস্ট করে দেন। মূলত বধূ নির্যাতনের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য নগ্ন ছবি পোস্ট করে তাঁকে বার বার ব্ল্যাকমেইল করা হয় বলে অভিযোগ। 


কিন্তু ওই গৃহবধূ মামলা প্রত্যাহার না করলে গত ১৭ নভেম্বর ফের ছবি পোস্ট করেন বিক্রম। পাশাপাশি, ওই গৃহবধূকে দেহব্যবসায়ী বলে অপবাদও জুড়ে দেন। ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, বার বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার প্রেক্ষিতে গত ১৮ নভেম্বর তিনি ফের বোলপুর থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে এক আধিকারিক অভিযোগ নেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করার পরামর্শ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখেন। সেখানে কিছু না হওয়ায় তিনি ফের বোলপুর মহিলা থানার শরণাপন্ন হয়। কিন্তু সেখানে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে, তাঁকে পুনরায় বোলপুর থানায় যেতে বলেন। যদিও এই বিষয়ে জেলা পুলিস সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। এমনকি মেসেজেরও উত্তর দেননি।‌


আরও পড়ুন, Weather Today: প্রথম স্পেলেই মারকাটারি ব্যাটিং শীতের! কোল্ড প্যাসেজে তাপমাত্রা নামতে পারে ৫-এ



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)