নিজস্ব প্রতিবেদন:  সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিজেপির বনধ ঘিরে অশান্তি বারাকপুরে। সোমবার দিনভর তার আঁচে উত্তপ্ত থাকল বিভিন্ন জেলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বারাকপুরের সুভাষনগর কলোনিতে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পরিস্থিতি। আহত হন বেশ কয়েকজন। জোর করে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামানো, অটো ভাঙচুর-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে। বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুর এলাকা, ঘোষপাড়া রোড। এখানেও আহত হন বেশ কয়েকজন। লালকুঠিতে চলে বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধ। উত্তেজনার আঁচ পড়ে টিটাগড়ের কয়লাপুর মোড়, আমডাঙা-রাজবেড়িয়া মোড়, নীলগঞ্জ রোড। একাধিক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। এছাড়াও প্রভাব পড়ে ফেরি চলাচলেও। নৈহাটি, জগদ্দল, বারাকপুর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সকালে কাছড়াপাড়ায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন অবরোধ হয়।


 



 


ঘটনার আঁচ পড়ে কার্যত গোটা রাজ্যেই। বিভিন্ন জেলায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দত্তপুকুর থানার যশোর রোডের জয়পুর এলাকায় বিজেপি টায়ার ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ শুরু করে। তৃণমূল বাধা দিলে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। সেইসময় অবরোধকারীরা কয়েকজন সাধারণ মানুষের বাইক ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ। পরে দত্তপুকুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের দফতরের কাছে কালেক্টরি মোড়ে বিজেপি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেখানে আটকে দেওয়া হয় বিক্ষোভ মিছিল। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।


‘অর্জুনকে খুন করতে চেয়েছিলেন মমতা, তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করা হোক’, সব্যসাচীর গণেশ পুজোয় এসে বললেন মুকুল


পুলিস সুপার অফিস ঘেরাও অভিযান চলে বর্ধমানেও। পুলিস তাদের পথ আটকালে বিজেপি সমর্থকরা একটি ব্যারিকেড তুলে ফেলেন। পুলিস লাঠিচার্জ করলে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। কার্জনগেটের সামনে আবার বিজেপি কর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।


হাওড়া পুলিস কমিশনারের অফিস ঘেরাও অভিযানে নামে বিজেপি। কয়েকশো কর্মী সমর্থক বার্ন স্যান্ডার্ড মোড় হয়ে হাওড়া পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। পুলিসকে ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভ।
বিক্ষোভের আঁচ পড়ে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ বালুরঘাট পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। বারাকপুর, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া তো বটেই, বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সোমবার দিনভর উত্তপ্ত থাকল বিভিন্ন এলাকা।