গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে হবে, কমিশনে দাবি জানিয়ে এল বিজেপি
বিজেপির দাবি, গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'আমরা কমিশনের কাছে গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানিয়েছি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর স্থানীয় প্রকাশনিক কর্তারা নয়, বাহিনী মোতায়ন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা। এমনই দাবি নিয়ে বুধবার কমিশনের ফুল বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতারা। বুধবার বিজেপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও ভূপেন যাদব। ছিলেন এরাজ্যের বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দাবিসনদ পেশ করে বেরিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ইতিহাস নেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০০ জনের বেশি মানুষ হিংসার বলি হয়েছেন। গণনার টেবিলে পর্যন্ত ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। বিরোধী দলগুলির জয়ী প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কপ্টার অবতরণের অনুমতি পাচ্ছে না।'
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির দাবি, গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'আমরা কমিশনের কাছে গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছি কমিশনের কাছে।'
বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকে নিহত ২০০ জেহাদি, প্রকাশ্যে পাকিস্তানের স্বীকারোক্তি
শুধু তাই নয়, বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারের পাঠানো রং মাখানো রিপোর্ট নয়, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে হবে কমিশনকে। এমনকী আধাসেনা মোতায়েন করতে হবে পর্যবেক্ষকদের নির্দেশে। স্থানীয় পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের তাতে কোনও হস্তক্ষেপ চলবে না। এছাড়া রাজ্যে যে সমস্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে আবেদন জানিয়েছে বিজেপি।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে আলাদা করে মিডিয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগের দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে লাউড স্পিকার বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইন বানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমন কোনও আইন দেশে নেই। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে একাজ করেছে সরকার। পরীক্ষার সময় লাউড স্পিকার না বাজানোর পিছনে যুক্তি আছে। কিন্তু মার্চে পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে তার পর লাউড স্পিকার বাজিয়ে প্রচারে সমস্যা কী?