'কোন হরিদাস পাল?' চায়ে পে চর্চায় কল্যাণকে (Kalyan Banerjee) তীব্র আক্রমণ দিলীপের (Dilip Ghosh)

"উনি কেমন আইনজীবী তা আমরা জানি। কোনও মামলা জেতেননি। উনি কোন হরিদাস পাল?" 

Updated By: Dec 14, 2020, 01:40 PM IST
'কোন হরিদাস পাল?' চায়ে পে চর্চায় কল্যাণকে (Kalyan Banerjee) তীব্র আক্রমণ দিলীপের (Dilip Ghosh)

নিজস্ব প্রতিবেদন : 'কোন হরিদাস পাল?' চাঁছাছোলা ভাষায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee) আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের সরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "উনি কেমন আইনজীবী তা আমরা জানি। কোনও মামলা জেতেননি। উনি কোন হরিদাস পাল? উনি কেন চিঠি লিখবেন। মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের কেউ লিখলে আলাদা বিষয় ছিল। উনি একজন এমপি। সামনের নির্বাচনে হারিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেব।" 

এক কথায় বলা যায় রাজ্যে যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, তা শীতের সকালে বিজেপির চায়ে পে চর্চা থেকে টের পেলেন রায়গঞ্জের মানুষ। রবিবার সাতসকালে রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকায় এনএস রোডে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী ও অন্যান্য নেতৃত্বও। এদিনের চায়ে পে চর্চাতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নজরে এসেছে। ওদিকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জবাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দিলীপ ঘোষ তো গরুর দুধে সোনা পান, গোয়ালে থাকেন, আমার আইনি বিষয়ের সার্টিফিকেট দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে নিতে হবে না।" একইসঙ্গে আরও বলেন, "উনি তো পশ্চিমবঙ্গ সম্বন্ধে কিছু জানতে না। ২০১৬-র আগে বাইরে থাকতেন। উনি জানবেন কী করে আমার কটা কী কেস রিপোর্টেড আছে! উনি নিজে একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি। গুন্ডা, মাফিয়া।"

প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে শিরাকোলে হামলা চালানো হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাডার কনভয়ে।  নাড্ডার গাড়ি ছাড়াও আক্রান্ত হন কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপির একাধিক নেতার গাড়ি। ওই ঘটনার পরই রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে লেখা হয়েছে, রাজ্যের হাতে আইএএস ও আইপিএসদের সংখ্যা খুবই কম। তাই কেন্দ্রের ডেপুটেশনে কাউকে পাঠানো যাবে না।

উল্লেখ্য, নাড্ডার কনভয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য বিজেপি। এ ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছেও ওই  হামলা সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শুক্রবার সেই রিপোর্ট পাঠান রাজ্যপাল। তারপরই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের ডিজি ও মুখ্যসচিবকেও ১৪ তারিখ তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লার সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে তীব্র নিশানা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, বাঁশের মাথায় পেরেক লাগিয়ে মারা হয় বিজেপি বুথ সভাপতিকে, ঘটনায় আটক ৪

.