এগরায় মাথা থেঁতলে শ্বাসরোধ করে খুন বিজেপি কার্যকর্তা, বাড়ির উঠানে দেহ ফেলে গেল দুষ্কৃতীরা
শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির মিটিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরন গোলক বিহারী। ফেরেন রাত দশটা নাগাদ। তারপর আবার বেরিয়ে যান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক বিজেপি কার্যকর্তাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। নিহতের নাম গোলক বিহারী জানা। কী কারণে বিজেপির কার্যকর্তাকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে নাকি পারিবারিক অশান্তির জেরেই খুন? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এগরার যড়রং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন গোলক বিহারী জানা। এদিন সকালে বাড়ির রান্নাঘরের উঠানে ওই কার্যকর্তার নিথর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁর মেয়ে। পেশায় শিক্ষক ছিলেন গোলক বিহারী বাবু। ভোরবেলা ওই বীভৎস দৃশ্য দেখতে পেয়েই চিত্কার জুড়ে দেন গোলক বিহারী বাবুর মেয়ে। তার চিত্কারে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। তবে কী কারণে বিজেপির কার্যকর্তাকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, দম্পতির মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল।
প্রতিবেশীদের কথায় স্ত্রী উজ্জ্বলা জানার সঙ্গে বিয়ের আগেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল গোলক বিহারী বাবুর। তারপর বিয়ে হয়। দম্পতির একটি কন্যাসন্তান ও একটি পুত্রসন্তানও হয়। কিন্তু ইদানিং দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক অশান্তির জেরে বেশিরভাগ সময় বাপেরবাড়িতে থাকছিলেন স্ত্রী উজ্জ্বলা। তবে শনিবার বাড়িতেই ছিলেন।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির মিটিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরন গোলক বিহারী। ফেরেন রাত দশটা নাগাদ। তারপর আবার বেরিয়ে যান। সেইসময় তিনি কোথায় গিয়েছিলেন, তা বাড়ির কেউই জানে না। এরপরই সকালে বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার হয় দেহ। অনেকে মনে করছেন ওই শিক্ষককে বাইরে কোথাও খুন করা হয়েছে। তারপর দেহ বাড়ির উঠানে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন, কেশপুরের ৯০ শতাংশ উদ্ধার হয়ে গিয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার দুদিনেই দাবি শুভেন্দুর
পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, বিজেপির ওই কার্যকর্তার মাথায় প্রথমে ভারী বস্তু দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয়। একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।