ধোপে টিকল না জিতেন্দ্র তিওয়ারির আবেদন, ৮ দিনের পুলিস হেফাজতের কড়া নির্দেশ
এদিন নিজের পক্ষে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কারণ, তিনি নিজেও একজন আইনজীবী। ২ দিনের পুলিস হেফাজত চান তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুলিস হেফাজত হল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। ৮ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। এদিন আসানসোল আদালতে নিজের পক্ষে নিজেই সওয়াল করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ২ দিনের পুলিস হেফাজত চান তিনি। উল্লেখ্য, আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে তিওয়ারি দম্পতির মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে কী রায় হচ্ছে তা শুনে পরবর্তী রায় ঘোষণার আবেদন জানান তিনি। যদিও, শেষপর্যন্ত আদালতের কাছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি ধোপে টেকেনি। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর, আদালত জিতেন্দ্র তিওয়ারির ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
শনিবার সন্ধ্যায় নয়ডা থেকে গ্রেফতারের পর রাতের বিমানেই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে রাজ্যে নিয়ে আসে পুলিস। রবিবার সকালে তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার সময় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘শেষ কথা পুলিসও বলবে না। শেষ কথা বলবে আসানসোলের মানুষ। ২০২৪ অবধি অপেক্ষা করুন। আসানসোলের মানুষ জবাব দিয়ে দেবে’। এদিন শুনানিতে পুলিসের তরফে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের দাবি করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ৮ দিন মঞ্জুর করলেন বিচারক। অন্যদিকে, এদিন নিজের পক্ষে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কারণ, তিনি নিজেও একজন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, গতবছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের একটি সভায় কম্বল বিতরণের সময়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। সেই মামলায় নাম রয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী চৈতালি-সহ মোট ৩ কাউন্সিলরের। ওই মামলায় আসানসোল আদালত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের পর কলকাতা হাইকোর্টে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে য়ায়।
তারপরই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। সেই মামলার শুনানি দু-একদিনের মধ্যেই। তারমধ্যেই শনিবার নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর একটি জায়গা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস ও গোয়েন্দা দফতর। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন, দরজা খুলতেই বাবা-মা-ছেলে-মেয়ের নিষ্প্রাণ দেহ! হাড়হিম করা হত্যালীলা...