Bankura: বাঁকুড়ায় সভা তৃণমূলের, সৌমিত্র খাঁ-কে সরাসরি আক্রমণ শাসক দলের
বাঁকুড়া সোনামুখী থানার মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ২০০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে যা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসকবিরোধী দড়ি টানাটানি। এবার সেই মহিলাদের নিয়ে মানিকবাজার গ্রামে প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল।
মৃত্যুঞ্জয় দাস: ‘সৌমিত্র খাঁ যদি বাপের বেটা হয়ে থাকিস তবে সোনামুখীতে একবার পা দিয়ে দেখা যদি পা দুটো না ভেঙ্গে দিতে পারি তবে তৃণমূল করা ছেড়ে দেবো’, হুঁশিয়ারি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন সভাপতির।
বাঁকুড়া সোনামুখী থানার মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ২০০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে যা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসকবিরোধী দড়ি টানাটানি। এর আগে গোষ্ঠীর এই মহিলাদের নিয়ে মিটিং মিছিল করেছে সিপিআইএম এবং বিজেপি। সেখানে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
মহিলাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন টাকা ফিরে পাইয়ে দেবার। এবার সেই মহিলাদের নিয়ে মানিকবাজার গ্রামে প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল। সেই প্রতিবাদ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সোমনাথ মুখার্জি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে হুঁশিয়ারি দেন।
এমনকি গোষ্ঠীর মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যারা টাকা তছরুপ করেছে সৌমিত্র খাঁয়ের মত ভাঁওতা বাজি না, সিপিআইএম নেতাদের মতো ভাঁওতাবাজি না। আজকের তারিখটা লিখে রাখুন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত দোষীদের যদি শাস্তি দিতে না পারি তাহলে মেনে নেব আমরা চুরি করেছি। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যারা টাকা চুরি করেছে তাদের যদি শ্রীঘরে না ঢোকাতে পারি তাহলে আমি তৃণমূল কংগ্রেস করা ছেড়ে দেবো। আর যদি আমরা দোষী হয়ে থাকি জনতা জনার্দন আদালত আপনারাই জুতোপেটা করবেন আমাদেরকে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মানিকবাজারে একটা ভেকধারী তৃণমূল কংগ্রেস আছে। আজ আমি তার নাম করছি না। উপরে তৃণমূল, ভেতরে পদ্মফুল, কিছু মহিলাকে ভুল বোঝাচ্ছিল। আমি তৃণমূল কংগ্রেস আমি বলি সেই নেতাগুলোকে বিশ্বাস করবেন না। সেই নেতাটাকে আমরা ধরে ফেলেছি, মানুষের কাছে তৃণমূল সেজে আছে, আর গোপনে গোপনে সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে টেলিফোন করছে‘।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: সোমবার থেকে আরও একটু বাড়বে তাপমাত্রা, রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা
এই একই মঞ্চ থেকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক নথি হাতে নিয়ে দাবি করেন, ‘সৌমিত্র খাঁয় এর নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। কোথাও চাকরির নামে টাকা খেয়েছে কোথাও বা সেবা মিশন সংস্কার করার নাম করে টাকা খেয়েছে। এমনকি বালি চুরির অভিযোগ রয়েছে, রয়েছে পিস্তল রাখার অভিযোগ’।