পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কর্মীরা তাদের বিজেপির পোষ্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ১৮ এপ্রিল জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। তার আগেই তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত জলপাইগুড়ি। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি, বাগ্রাকোট এবং ডামডিম-সহ একাধিক এলাকায় সংঘর্ষের খবর। বিজেপির পোষ্টার, ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কর্মীরা তাদের বিজেপির পোষ্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
বিজেপি কর্মী অখিল সরকারের কথায়, গতকাল আলিপুর এবং কোচবিহারে ভোট হয়েছে। সেই ভোটে তৃণমূল দুটি আসনেই পরাজিত হবে। ১৮ এপ্রিল জলপপাইগুড়িতে ভোট, সেই ভোটেও তৃণমূল পরাজিত হবে জেনেই বিজেপির ওপর আক্রমণ করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে তৃণমূল। মানুষই এর উচিত জবাব দেবে ভোটে। ঘটনাটি আমরা দলীয়স্তরে এবং মালবাজার প্রশাসন কে জানিয়েছি। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: বিজেপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি
অন্যদিকে মালবাজার ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তমাল ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, এটা বিজেপির চক্রান্ত। জলপপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করবে। বিজেপি নিজেরাই নিজেদের পোষ্টার নষ্ট করে তৃণমূলের নাম দিচ্ছে। তমাল ঘোষ আরও বলেন মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে। বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই এলাকায়। বিজেপি নেতা অখিল সরকার বলেন, আমরা চাই ওদলাবাড়ি, বাগ্রাকোট ডামডিম, ওয়াসাবাড়ি, কুমলাই, তেশিমলা, রাজাডাঙ্গা, ক্রান্তি, লাটাগুড়ি গাজলডোবার মতো স্পর্ষকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গ্রহন করা হোক।
তাতে সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবে।