মৃত্য়ুঞ্জয় দাস: গভীর রাত পর্যন্ত কী কাজ চলছিল? তৃণমূলের পার্টি অফিসের রক্তের স্রোত! মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, রক্তের ছিটে দেওয়ালেও। কার রক্ত? কোথা থেকে এল? তদন্তে নেমেছে পুলিস। নমুনা সংগ্রহ করলেন তদন্তকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার জয়পুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? বাঁকুড়ার জয়পুর থানার ব্রজশোল গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গতকাল বুধবার গভীর রাতে পর্যন্ত নির্মীয়মাণ ওই পার্টি অফিসে কাজকর্ম চলেছে। তারপরই ঘটল বিপত্তি। এদিন সকালে দেখা যায়, তৃণমূলের পার্টি অফিসে সর্বত্রই রক্তের দাগ! দেওয়াল-মেঝে, বাদ নেই কোথাও। কার্যত গোটা বাড়িটাই রক্তে ভরে গিয়েছে। কেন? ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হবে।


এত রক্ত এল কোথা থেকে? স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ব্রজশোল গ্রামে পার্টি অফিস তৈরি কাজ শেষ হয়নি এখনও। জানলা-দরজাও লাগানো হয়নি। সেই সুযোগেু হয়তো পার্টি অফিসের পার্টি ছাগল বা মুরগি কাটা হয়েছিল। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি।  রাজ্যে পুরভোট তখন দোরগোড়ায়। এ বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলির পোলবায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগমন ঘটেছিল লক্ষ্মীপেঁচার। নিশাচর প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরাই। এর আগে, গত বছর কলকাতার বাইপাসের ধারে যখন তৃণমূলে নতুন ভবন তৈরি হচ্ছিল, তখন জরুরি নথি, আসবাব পত্র সরানোর খোদ দলনেত্রীর ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছিল লক্ষ্মীপেঁচা।


আরও পড়ুন: স্কুলের পোশাক বিলি করে লাখ টাকা আত্মসাৎ! কাঠগড়ায় তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন


এদিকে করোনার সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আবার তৃণমূলের পার্টি থেকে আবার ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছিল! অভিযোগ, গত বছর  ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের  নারায়ণপুর অঞ্চলের ২ নম্বর সংসদ এলাকায় ভ্য়াকসিন কর্মসূচি আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নেতা ওহেদ আলি সেখ। শুধু তাই নয়, স্থানীয় খড়ম্বায় এলাকায় দলের কার্যালয় থেকে ভ্য়াকসিন দেওয়া হয় দেড়শো জনকে। ঘটনাকে কেন্দ্র রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই, তবুও এসএসকেএম রেফারের অনুরোধ কেষ্টর!


দক্ষিণ ২৪ বাসন্তীতে দিনদুপুরে এক তৃণমূলকর্মীকে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম জানে আলম গাজী। বাড়ি, বাসন্তী থানার আনন্দবাদ এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকালে স্থানীয় ভরতগড় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জানে আলম। সঙ্গে ছিলেন আরও ৪ যুবক। মাঝ-রাস্তায় ওই তৃণমূলকর্মীকে ঘিরে ধরে জনা সাতেক দুষ্কৃতী। এরপর টেনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গুলি, তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে!  ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)