নিজস্ব প্রতিবেদন:  সকালের বাস। আসনে বসে থাকা অনেক যাত্রীই চোখ বুঝে ঝিমোচ্ছেন। কেউ বা খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। প্রায় প্রত্যেকেই সকালের বাসে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছেন। আচমকাই বিকট শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড়িয়ে একে অপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়লেন যাত্রীরা। কারোর মাথায় আঘাত লাগল, কারও বা হাত-পা আটকে গেল বাসের সিটের নীচে। জানলার কাচ ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হলেন অনেকে। শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখলেন, একটি বাসের যাত্রীরা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। বাস  সামনের অংশ ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে। রবিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বর্ধমানের রায়নার মিরেপোতা বাজারের বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেষারেষি করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে উলটে গেল বাস। দুর্ঘটনায় ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান-আরামবাগ রোডের রায়নার মিরেপোতা বাজারে।


আরও পড়ুন: প্ল্যাটফর্মের সিটে বসে তরুণী, রক্তে ভেসে যাচ্ছে এলাকা, পাশে লেখা একটি ‘শব্দ’…


স্থানীয়রা বলেন, বর্ধমান থেকে মেদিনীপুরের মেচেদা স্টেশনগামী বাসটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। সামনে একটি বর্ধমান-আরামবাগ রুটের বাসের সঙ্গে রেষারেষি চলছিল। মিরেপোতা বাজারের কাছে আরামবাগ রুটের বাসটিকে ডানদিক ধরে ওভারটেকের চেষ্টা করে মেচেদা রুটের বাসটি। সেইসময় অপর বাসটি আরও ডানদিকে চলে আসে। ফলে মেচেদাগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডানদিকে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে নয়নজুলিতে উলটে যায় । 


প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই যাত্রীদের উদ্ধার করতে থাকেন। পরে খবর পেয়ে সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।